এম.এ হান্নান, বাউফল:
শ্রেণী সংকট তারপর উপর আবার শিক্ষক নেই। এক খন্ডকালিন শিক্ষক একই কক্ষে তিন শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পাঠদান দিচ্ছেন। এ যেনো একের ভিতর সব। এমন চিত্র চোখে পড়ে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার পূর্ব মল্লিক ডুবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
রবিবার ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে চোখে পড়ে করুন চিত্র। প্রধান শিক্ষক ফরিদা ইয়াসমিন তাঁর মেয়ের এসএসসি পরীক্ষা চলায় ১২টার কিছুটা পর বিদ্যালয় ত্যাগ করে। আরেক সহকারি শিক্ষক আবুল খায়ের মো. মহিউদ্দিন ব্যস্ত অফিস কক্ষে। মোসা. সালমা নামের এক খন্ডকালিন শিক্ষক একই কক্ষে ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণীর মাঝে লেকচার দিচ্ছেন। অনেকটা হ-য-ব-র-ল ।
খন্ডকালিন শিক্ষক সালমা বলেন, ‘ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সংকট থাকায় আমাকে ক্লাশ নিতে বলা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন,‘ আমাদের মাত্র দু’জন শিক্ষক থাকায় আমদের ক্লাশ তেমন হয় না। এজন্য সব ক্লাশ একসাে হয় আবার মাঝে মাঝে বসে থাকি।
জানা যায়, উপজেলা শিক্ষা অফিসার রিয়াজুল হক নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে রমরমা বদলিবানিজ্য করে যাচ্ছেন। সরকারি বিধি মোতাবেক কোনো বিদ্যালয়ে কমপক্ষে পাঁচজন শিক্ষক কর্মরত থাকলে ওই বিদ্যালয়ে একজন বদলি হতে পারবে। উপজেলার কেশাবপুর ইউনিয়নের ৯০নং পূর্ব মল্লিক ডুবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে থেকে নিয়ম বর্হিভূত শিক্ষক বদলি হয় প্রভাবশালী ওই শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে। গতবছরের (২০১৯) শেষ দিকে ওই বিদ্যালয়ের ৪জন শিক্ষক থেকে রেখা বেগম ও শাইরিন সুলতানা নামের দুজন সহকারি শিক্ষককে উৎকোচের বিনিময় তাদের চাহিদা মত বদলি করে রিয়াজুল এমন অভিযোগ পাওয়া যায়। এতে করে ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দুজন শিক্ষক দিয়ে চলছে জোড়া-তালির পাঠদান।
একই বিদ্যালয় থেকে ফাতিমা নামের এক সহকারি শিক্ষক ১৭ সালের শুরুর দিকে বদলি হয়। এঝাড়াও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে শিক্ষা কর্তার বিরুদ্ধে।
এবিষয়ে বিদ্যালয় প্রধান ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘মেয়ের পরীক্ষা কেন্দ্র গিয়েছিলাম। এক শ্রেণী কক্ষে তিন শ্রেণীর পাঠদান বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। দুই শিক্ষক বদলির বিষয়ে বলেন, ‘টিও (রিয়াজুল হক) স্যার বলছেন; যেমন পারবেন তেমন চালাবেন!
এবিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার রিয়াজুল হক বলেন, ‘তাদের বদলি অর্ডার ছিলো।’