প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গ্রেফতার হন পাপিয়া - Shera TV
  1. [email protected] : akibmahmud :
  2. [email protected] : f@him :
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গ্রেফতার হন পাপিয়া - Shera TV
রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৪৪ অপরাহ্ন

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গ্রেফতার হন পাপিয়া

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সমাজসেবা ও গাড়ি ব্যবসার আড়ালে অবৈধ অস্ত্র, মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন নরসিংদী জেলা যুবমহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামিমা নূর পাপিয়া। এ ঘটনার পরই তাকে সংগঠন থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার যুব মহিলা লীগ নেত্রী শামিমা নূর পাপিয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানতেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার রাজধানীর মহাখালীর সেতু ভবনে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সেতুমন্ত্রী বলেন, পাপিয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানতেন। তিনিই পাপিয়াকে গ্রেফতার করতে এবং তদন্ত করে বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশত্যাগের সময় শামীমা নূর পাপিয়া ওরফে পিউসহ (২৮) চারজনকে আটক করে র‌্যাব-১।

গ্রেফতারের পর রোববার বিকালে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১ অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাফী উল্লাহ বুলবুল বলেন, চাকরিপ্রত্যাশী নারীদের দেহব্যবসায় বাধ্য করতেন শামীমা নূর পাপিয়া। আর অনৈতিক কর্মের ভিডিও ধারণ করে ব্যবসায়ীদের ব্ল্যাকমেইল করতেন। এ দুই উপায়ে তিনি শত শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। অস্ত্র ও মাদক মজুদের পাশাপাশি কিউঅ্যান্ডসি নামে ক্যাডার বাহিনীও গঠন করেছেন।

তিনি জানান, পুলিশের এসআই ও বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন পদে মানুষকে চাকরি দেয়ার কথা বলে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়া পাপিয়া ও তার স্বামী সুমন। শুধু তাই নয়, জমির দালালি, সিএনজি পাম্পের লাইসেন্স দেয়া, গ্যাসলাইন সংযোগের নামেও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন তারা। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংকে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অর্থ রেখেছেন এই দম্পতি।

রোববার সকালে রাজধানীর ফার্মগেট ইন্দিরা রোডে পাপিয়ার বাসায় অভিযান চালিয়ে ১টি বিদেশি পিস্তল, ২টি ম্যাগজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, ৫ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, ৫টি পাসপোর্ট, ৩টি চেক, বেশ কিছু বিদেশি মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করেছে র‌্যাব।

পরে সোমবার দুপুরে পুলিশ পাপিয়া দম্পতিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে জাল টাকা উদ্ধারের মামলায় ১০ দিন ও অস্ত্র-মাদক মামলায় তাদের ১০ দিন করে মোট ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।

ঢাকা মহানগর হাকিম শাহীনুর রহমান তাদের গ্রেফতার দেখান ও আবেদন মঞ্জুর করেন।

সোমবার অস্ত্র ও মাদকের পৃথক তিন মামলায় শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানের পাঁচদিন করে মোট ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকা মহানগর হাকিম মাসুদুর রহমান ও মোহাম্মদ জসীম।

১৫ দিন রিমান্ডের মধ্যে বিমানবন্দর থানার জাল টাকা উদ্ধারের মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম মাসুদুর রহমানের আদালতে পাঁচদিন এবং শেরেবাংলা নগর থানার অস্ত্র ও মাদক আইনে দায়ের করা মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীমের আদালতে পাঁচদিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

বিমানবন্দর থানার মামলায় গ্রেফতার চারজন আসামি হলেও শেরেবাংলা নগর থানার মামলার আসামি কেবল পাপিয়া দম্পতি।

এদিকে রাজধানী ও নরসিংদীতে পাপিয়ার বিলাসবহুল বাড়ি-গাড়িসহ নামে-বেনামে বিপুল অর্থের সন্ধান পায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। রাজধানীর বিভিন্ন পাঁচতারকা হোটেলে নারীদের অনৈতিক কাজে বাধ্য করে অর্থ আয় করতেন তিনি।

এ ছাড়া রেলওয়ে ও পুলিশে এসআই পদে চাকরির কথা বলে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

প্রাথমিক তদন্তে ফার্মগেটে পাপিয়ার দুটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, নরসিংদী শহরে দুটি ফ্ল্যাট, দুই কোটি টাকা মূল্যের দুটি প্লট, চারটি বিলাসবহুল গাড়ি এবং গাড়ি ব্যবসায় প্রায় দেড় কোটি টাকা বিনিয়োগের তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের ব্যাংকে নামে-বেনামে অনেক অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ অর্থ গচ্ছিত থাকার কথা জানা গেছে।

পাপিয়া ও তার স্বামী সুমন রেলওয়ে এবং পুলিশের এসআইতে চাকরির প্রলোভনে ১১ লাখ টাকা, একটি কারখানায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়ার কথা বলে ৩৫ লাখ টাকা, একটি সিএনজি পাম্পের লাইসেন্স করে দেয়ার কথা বলে ২৯ লাখ টাকা নেয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এর বাইরে নরসিংদী এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ও অস্ত্র ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেছে বলে জানা গেছে।

আরও জানা যায়, পাপিয়ার আয়ের আরেকটি অন্যতম উৎস নারীদের দিয়ে জোরপূর্বক অনৈতিক কাজ করানো। ঢাকার বিভিন্ন বিলাসবহুল হোটেলে অবস্থান করে কম বয়সী মেয়েদের দিয়ে জোরপূর্বক অনৈতিক কাজে বাধ্য করা হতো। যাদের অধিকাংশই নরসিংদী এলাকা থেকে চাকরির প্রলোভনে ঢাকায় আনা হয়েছিল। অনৈতিক কাজে বাধ্য না হলে তাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হতো।

 

সেরা নিউজ/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360