স্পোর্টস ডেস্ক:
২০১৯ সালের শেষ ভাগে বদলে যায় ব্যাটসম্যান মুমিনুল হকের পরিচয়। সাকিব আল হাসান নিষিদ্ধ হওয়ার তার কাঁধে ওঠে টেস্ট দলের নেতৃত্বের ভার। তবে অধিনায়কের আর্মব্যান্ড পরার পর শুরুর দিকে সাফল্য পাননি তিনি।
ব্যাট হাতে ছিলেন ব্যর্থ। অধিনায়কত্বের গুণ দিয়েও দলকে সঠিক পথে রাখতে পারেননি মুমিনুল। তবে ধীরে ধীরে স্বরূপে ফিরছেন তিনি। দলনায়ক হিসেবে চতুর্থ টেস্টে এসেই জয়ের মুখ দেখলেন পয়েট অব ডায়নামো। তার দলও হারের বৃত্ত থেকে বের হলো।
কাপ্তান হিসেবে মুমিনুলের পথচলার প্রথম তিন টেস্টেই ইনিংস হারের লজ্জা বরণ করে বাংলাদেশ। তবে তার অধীনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইনিংস ও ১০৬ রানে জিতেছেন টাইগাররা। স্বাভাবিকভাবেই জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে হাসিমুখে দেখা গেছে তাকে।
মুমিনুল স্বভাবজাতভাবে চুপচাপ ও লাজুক প্রকৃতির। এ রূপেই তাকে চেনেন সবাই। টানা হারের পর বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান বলেই দেন, তাকে দিয়ে অধিনায়কত্ব হবে না। সে কাউকে কড়া ভাষায় কথা বলতে পারে না।
তবে ক্যাপ্টেন হওয়ার পর বদলে গেছেন মুমিনুল। এখন সতীর্থদের ‘ঝাড়ি’ মারেন তিনি। সেটি মাঠে তো বটেই, প্রয়োজনে এর বাইরেও। বাড়তি দায়িত্বের কারণেই আগ্রাসী ও কঠোর হতে হয়েছে তাকে। অবশ্য এ কথা সাংবাদিকদের নিজেই বলেছেন টেস্ট অধিনায়ক।
মুমিনুল বলেন, বিসিএল, এনসিএল দিয়ে আমার অধিনায়কত্ব শুরু হয়। তখন এ রকমই ছিলাম। কিন্তু পরে দেখলাম, আমাকে একটু কঠিন হওয়া দরকার। যারা মাঠে থাকে তারা জানে। মানে আক্রমণাত্মক থাকি আরকি। সবাইকেই ঝাড়ি মারি।
এমনকি প্রয়োজন বোধে মুশফিক, তামিম, মাহমুদউল্লাহদেরও ঝাড়ি মারেন তিনি।
সেরা নিউজ/আকিব