ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের অডিটর জেনারেল নির্বাচনে মনোনয়ন পেলেন ড. নীনা। প্রার্থী হওয়ার জন্য দরকার ছিল এক হাজার ভোটারের স্বাক্ষর। সেখানে ড. নীনা আহমেদ পেয়েছেন ১০ হাজার ভোটারের স্বাক্ষর। স্বাক্ষর সম্বলিত দরখাস্ত গত ১৮ ফেব্রুয়ারি জমা দেয়া হয় পেনসিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্য নির্বাচন কমিশনে। এ রাজ্যের অডিটর জেনারেল পদে ডেমক্র্যাটিক পার্টির প্রাইমারিতে অবতীর্ণ হয়েছেন বাংলাদেশি আমেরিকান ড. নীনা। আরও রয়েছেন এইচ স্কট কঙ্কলিন, রোজি ডেভিস, ট্য্রাসি ফাউন্টেন, ক্রিস্টিনা হার্টমেন এবং মাইকেল ল্যাম্ব। আগামী ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে এ নির্বাচন।
উল্লেখ্য, ৩০ বছরের অধিক সময় ধরে জনসেবায় নিয়োজিত যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়া অঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষের প্রিয় সংগঠক ড. নীনাকে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এশিয়ান আমেরিকান বিষয়ক উপদেষ্টা নিয়োগ করেছিলেন। এরপর ফিলাডেলফিয়া সিটির ডেপুটি মেয়র হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। গত বছর পেনসিলভেনিয়া রাজ্যের লে. গভর্নর হিসেবে লড়াই করে ২ লাখ ৮২ হাজার ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান দখলে সক্ষম হন তিনি। সে আলোকেই পুনরায় প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূলের জনপ্রিয় এই সংগঠক।
ড. নীনার পক্ষে কমিউনিটির বিশিষ্টজনেরা মাঠে নেমেছেন। তাদের অন্যতম হলেন- ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ এবং ড. ইবরুল চৌধুরী।
উল্লেখ্য, ড. নীনা জয়ী হতে পারলে এই রাজ্যে তিনি হবেন প্রথম নারী এবং প্রথম অশ্বেতাঙ্গ অডিটর জেনারেল। মনোনয়নপত্র নিশ্চিত হবার পর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে সকলের আন্তরিক সহায়তা কামনা করেছেন তিনি। বিশেষ করে নির্বাচনে বিজয়ের অন্যতম পূর্বশর্ত হচ্ছে তহবিল মজবুত করা। সেদিকে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। লে. গভর্নর পদে নির্বাচনের সময় সারা আমেরিকার প্রবাসীরা অর্থ দিয়েছিলেন, সেটি তিনি গভীর শ্রদ্ধায় বারবার স্মরণ করেছেন।
ড. নীনা বলেছেন, এখন সময় হচ্ছে বিজয় ছিনিয়ে আনার। এজন্যে সকলকে সর্বাত্মকভাবে সচেষ্ট থাকতে হবে। এ বিজয় হবে প্রতিটি বাংলাদেশির এবং প্রতিটি বঞ্চিত-অবহেলিত মানুষের। কারণ, আমি সবসময় অভিবাসী সমাজের অধিকার আদায়ে কাজ করতে আগ্রহী।
সেরা নিউজ/আকিব