চীনে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে করোনা ভাইরাস। মরণঘাতী এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৩ হাজার জনে দাঁড়িয়েছে। শিনহুয়া নিউজ এজেন্সির উদ্ধৃতি দিয়ে ডয়েচে ভেলে জানিয়েছে, শুধুু চীন নয় অন্যান্য দেশের বিজ্ঞানীরাও এই ভাইরাসটির ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য তৎপর। চীনা গবেষকরা খুব দ্রুতই রোগটির সঠিক রুপ সনাক্ত করতে পেরেছেন।
তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে সৃষ্ট কোভিড-১৯ রোগের প্রতিষেধক মার্কিন গবেষকরা আবিস্কার করেছেন বলে দাবী করা হয়েছে। তাদের ভাষ্যমতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এমন ভ্যাকসিন তৈরির জন্য লম্বা সময় চাইলেও স্বল্প সময়েই আবিষ্কৃত ওষুধ প্রয়োগ করে করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ করেছেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা।।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দাবি গত ১৫ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। তার চিকিৎসা শুরু হয় স্নোহোমিশ হেলথ ডিস্ট্রিক্টে। ওই হাসপাতালে অ্যাডিসন এবং উইলকারসনসহ কয়েকজন দক্ষ ডাক্তারকে নিয়ে একটি দল গঠন করা হয়। এরপর থেকে এর প্রতিষেধক নিয়ে কাজ শুরু করেন সেখানকার গবেষকরা।
তারা জানান যুক্তরাষ্ট্রে কেন্দ্রীয় ওষুধ প্রশাসনের কাছ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ‘রেমডেসিভির’ অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ প্রয়োগের অনুমোদন পান। দিয়াজ নামক এক চিকিৎসকের নেতৃত্বে পরীক্ষামূলকভাবে একটি অ্যান্টিভাইরালের ব্যবহার শুরু করে। ওষুধটি তৈরি করে ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক গিলিড ফার্মাসিটিউক্যালস।
অ্যান্টিভাইরাল রোগীর ওপর প্রয়োগের কয়েক দিন পর তার জ্বর কমতে শুরু করে এবং তিনি সুস্থ বোধ করেন। জানুয়ারি ৩১ থেকে ৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ওই রোগী বাড়ি ফেরেন। মার্কিন এ চিকিৎসক বলেন, ‘এটাই করোনাভাইরাসের চিকিৎসা হিসেবে প্রথম এবং একমাত্র সফলতা হলেও এ পদ্ধতি যে কাজ করছে তা বেশ ভালোই বোঝা যাচ্ছে।’
উল্লেখ্য গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেইপ্রদেশের উহান শহরে একটি সামুদ্রিক বাজার থেকেই ওই করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। এর পর তা চীনের সীমান্ত পেরিয়ে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম হয়ে অস্ট্রেলিয়া, নেপাল, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ফ্রান্স এবং যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়েছে।