নিজস্ব প্রতিবেদক:
বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলা বরগুনা থেকে ঢাকার আদালতে বদলি চেয়ে রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আদেশের জন্য বুধবার দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে মিন্নির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জেডআই খান পান্না। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মাক্কিয়া ফাতেমা ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এফআর খান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাহমুদুল ইসলাম রতন। গত ৯ ফেব্রুয়ারি বরগুনা থেকে ঢাকার আদালতে মামলাটি বদলি চেয়ে আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি আবেদন করেন।
এদিকে বরগুনা থেকে যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার জানান, এ ঘটনায় করা মামলায় মঙ্গলবার বরগুনার আদালতে আরও ৫ জন সাক্ষীর জেরা সমাপ্ত হয়েছে। ৬ দিন বিরতির পর আদালতে দেয়া একজন সাক্ষীর জবানিতে রিফাতের শরীরে অসংখ্য কোপের রোমহর্ষক বর্ণনা ফুটে উঠেছে। সকাল ১০টায় বরগুনার শিশু এবং জেলা জজ আদালতের বিচারক হাফিজুর রহমানের আদালতে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার রাশেদুল ইসলাম, বরগুনা থানার এসআই কাজী ওবায়দুল কবির, এএসআই ইন্দ্রজিৎ কুমার, কনস্টেবল মোবারক করিম ও কনস্টেবল কামরুল হাচান সাক্ষ্য দেন। এ সময় জামিনে থাকা ৭ শিশু আসামিসহ ১৪ জন শিশু আসামির সবাই উপস্থিত ছিল।
আদালতে সাক্ষ্য দেয়ার পর ওয়ার্ড মাস্টার রাশেদুল ইসলাম বলেন, আমি ঘটনার দিন ২৬ জুন বিকালে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডিউটিতে ছিলাম। রিফাত শরীফ নিহত হওয়ার পর সন্ধ্যায় বরিশাল থানার এসআই সহিদুল ইসলাম লাশের সুরতহাল করেন। তখন আমি সেখানে ছিলাম। নিহত রিফাত শরীফের শরীরে অসংখ্য কোপ দেখেছি। সেগুলো দেখার মতো নয়। রীতিমতো ক্ষতবিক্ষত ছিল রিফাতের শরীর। হাতে, মাথায়, ঘাড়ে বড় বড় কোপ ছিল। তাকে জেরা করেন রিশান ফরাজির আইনজীবী সোহরাফ হোসেন মামুন।
বরগুনা থানার এসআই কাজী ওবায়দুল কবির বলেন, রিফাত শরীফকে যে রাম দা দিয়ে আসামিরা কুপিয়েছে, সেই দা তদন্ত কর্মকর্তারা উদ্ধার করেছে, সেই দা আদালতে শনাক্ত করেছি।
রাষ্ট্রপক্ষে বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শিশু আদালতে এ পর্যন্ত ৬০ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ সময় সব আসামি উপস্থিত ছিলেন।
সেরা নিউজ/আকিব