শেখ গালিব রহমান একজন আইটি এক্সপার্ট ও উদ্যোক্তা। মেধা, মনন, সততা ও প্রজ্ঞায় নিজ কর্মদক্ষতার গুনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে মিঃ শেখ নামে পরিচিতি পেয়েছেন একজন মেধাবী আইটি টেকনোলজিষ্ট হিসেবে। কাজ করেছেন আমেরিকার ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির আইটি ম্যানেজার হিসেবে। ।
মাত্র ১৭ বছর বয়সে ২০০৭ সালে মার্কিন যুক্ত্ররাষ্ট্রে পাড়ি জমান তিনি। নিজের ক্যারিরার গড়ে তোলেন আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে। তথ্য প্রযুক্তির শিক্ষাকে বহুমাত্রিকভাবে ছড়িয়ে দিতে গড়ে তুলেছেন নিজের স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান ট্রান্সফোটেক গ্লোবাল। যার অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ট্রান্সফোটেক একাডেমি এর মাধ্যমে ইনফরমেশন টেকনোলজির (আইটি) আধুনিক শিক্ষায় গড়ে তুলছেন বাংলাদেশিসহ নানা দেশের অসংখ্য তরুণকে। এখানে তরুণদের বহু কাঙ্খিত স্বপ্নকে বাস্তব করে তুলছেন নতুন প্রজন্মের এই কারিগর। কিউএ ইঞ্জিনিয়ারিং, বিজনেস এনালিস্ট, সাইবার সিকিউরিটি এবং ক্লাউড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে প্রশিক্ষনের মাধম্যে তরুনদের গড়ে তুলছেন একজন দক্ষ আইটি এক্সপার্ট হিসেবে।
তার দূরদর্শীতা, কাজের প্রতি ডেডিকেশনের কারনে শিক্ষার্থীরা আইটি জগতে তাদের একজন পথ প্রদর্শক হিসেবে দেখছেন গালিব রহমানকে। শুধু তাই নয়, প্রশিক্ষণ শেষে এই প্রতিষ্ঠান থেকে চাকরিও নিশ্চিত করা হচ্ছে সরকারী এবং কর্পোরেট হাউজে। এভাবেই অসংখ্য পরিবারের কাছে গালিব রহমান একজন আলোকিত মানুষ হিসেবে পরিচিতি। যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে এখন গতিময় এক উজ্জ্বল জীবনের নাম শেখ গালিব।
এবিষয়ে জানতে চাইলে তরুন এই উদ্যোক্তা বলেন নিজের মেধা দিয়ে দেশ ও দশের উন্নয়নে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই। তা শুধু যুক্তরাষ্ট্রে নয় বাংলাদেশেও তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে একটি ক্যাম্পাস ও যৌথ উচ্চশিক্ষা কর্মসূচি চালুর চেষ্টা করছেন তিনি। এ চেষ্টা সফল হলে বাংলাদেশের তরুণদের সামনে নিঃসন্দেহে খুলে যাবে সম্ভাবনার দুয়ার।
উল্লেখ্য ব্যাংকার বাবা এস এম সিদ্দিকুর রহমান ও শিক্ষিকা মায়ের সন্তান শেখ গালিব রহমান বাংলাদেশের বরিশাল শহরে জন্মগ্রহন করেন। তার দাদা অ্যাডভোকেট আশরাফ আলী বরিশাল অঞ্চলের একজন খ্যাতিমান আইনজীবী হিসেবে পরিচিত। ছোট বেলায় দাদার মতো বড় মাপের একজন আইনজীবী হওয়ার স্বপ্ন দেখলেও ২০০৭ সালে ইউএসএ আসার পর তার জীবনের মোড় বদলে যেতে শুরু করে।
আমেরিকার ওহাইওতে থাকাকালে অধ্যয়নের পাশাপাশি কিউ এনালিস্ট হিসেবে আইবিএমে প্রথম চাকরি শুরু করেন। ২০১১ সালে সাফল্যের সঙ্গে কম্পিউটার সাইন্স পাস করার পরে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা দিয়ে হান্টিংটন ন্যাশনাল ব্যাংক এ কম্পিউটার এনালিস্ট হিসেবে যোগ দেন। এরপর আইটি কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি নেন চেজ ব্যাংক, ক্যাপিটাল ওয়ান ও ডিজনি ওয়ার্ল্ডে।ইতোমধ্যে সিআইএস সিসিএনএ মতো ডাটা বেইজ কোর্সগুলো সম্পন্ন হয়। রেগুলার ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে লিড এর দায়িত্ব দেন কর্তৃপক্ষ। এ সময় ৪টা সম্মাননা অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয় তাকে।
মাত্র ১১ বছরের মধ্যে নিজ কর্মদক্ষতার গুনে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে পরিচিতি পেয়েছেন একজন মেধাবী আইটি টেকনোলজিষ্ট হিসেবে। কাজ করেছেন আমেরিকার ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির (ডিএইচএস) প্রকল্পে একজন তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) বিশেষজ্ঞ হিসেবে।
ডিএইচএসের সাবেক এ কর্মকর্তা ও আইটি উদ্যোক্তা কাজ করেছেন বিখ্যাত আইটি প্রতিষ্ঠান কেপজিমিনির সঙ্গে। শুধু এখানেই থেমে থাকেননি তিনি, ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ডিজিটাল সার্ভিস (ইউএসডিএস) প্রকল্পে আইটি কনসালটিং ডাইরেক্টর হিসেবে যোগ দেন গালিব। ওয়াশিংটন ডিসিতে রিজার্ভ ব্যাংক অব রিচমন্ডে আইটি কনসালটিং ডাইরেক্টর হিসেবে কাজ করেন তিনি।
সেরা নিউজ/আকিব