অনলাইন ডেস্ক:
গর্ভবতী সেজে ‘নিষিদ্ধ’ দ্রব্য নিয়ে জেলে দেখা করতে গিয়েছিলেন স্বামীর সঙ্গে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না, ওই মহিলাকে নিষিদ্ধ দ্রব্য পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। ব্রাজিলে বেলো হরাইজন্তের কাছে এক জেলখানার ঘটনা এটি। এ ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
জানা গেছে, বেলো হরাইজন্ত সংলগ্ন নেলসন হাঙ্গেরিয়া জেলে স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে যান এক যুবতী। গেট দিয়ে ঢোকার সময় কারারক্ষীদের জানান, তিনি গর্ভবতী। নিয়ম অনুযায়ী গর্ভবতী মহিলাদের স্ক্যান করা হয় না। কারারক্ষীরাই তল্লাশি করে ভেতরে যেতে দেন। তাই ওই যুবতীকে স্ক্যান না করে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কারারক্ষীরা। মহিলার দেওয়া বিভিন্ন কাগজপত্র পরীক্ষা করে তাঁদের সন্দেহ হয়। মহিলার কথাতেও অসঙ্গতি ধরা পড়ে। তারপর শুরু হয় দেহ তল্লাশি।
দেহ তল্লাশি শুরু হতেই একে একে বের হতে থাকে লুকানো ‘ধন সম্পদ’। মহিলার পোশাকে এমনকি, অন্তর্বাসের মধ্যে লুকিয়ে রাখা একের পর এক নিষিদ্ধ জিনিসপত্র বের হতে থাকে। কী ছিল না তার মধ্যে, ১২টি মোবাইল ফোন সঙ্গে চার্জার, সিম কার্ড, হেডফোন, চুইংগাম, একগুচ্ছ ওষুধ, টাকা এবং একটি হাতুড়ি। এই সব দ্রব্য ওই মহিলার জাম্পশুট ও অন্তর্বাসের মধ্যে লুকিয়ে এবং কোমরে টেপ দিয়ে আটকে রাখা ছিল।
এত পরিমাণ নিষিদ্ধ জিনিসপত্র বেরিয়ে পড়ার পর আর মহিলার পার পাওয়ার কোনও রাস্তা ছিল না। তিনি জেরায় জানিয়েছেন, স্বামী ও স্বামীর বন্ধুদের জন্য এই সব জিনিস জেলের ভিতরে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।
জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এমন ঘটনা প্রথম নয় এর আগেও অনেক মহিলা ‘গর্ভবতী’ সেজে এমন ভাবে জেলে পাচারের চেষ্টা করেছেন। ধরা পড়ার পর তাঁদের ভেসপাসিয়ানো জেলে রাখা হয়। এই যুবতীকেও সেই সব ‘গর্ভবতী’-দের সঙ্গে রাখা হয়েছে।
সেরা নিউজ/আকিব