অনলাইন ডেস্ক:
নভেল করোনাভাইরাস নিয়ে তীব্র আতঙ্ক চলছে বিশ্বজুড়ে। রোজ লাফিয়ে বাড়ছে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্য। নতুন নতুন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। এরই মধ্যে কিছুটা স্বস্তির খবর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। করোনার টিকার মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করেছে তারা। যদিও একেবারেই পরীক্ষামূলক পর্যায়ে আছে বিষয়টি। গত সোমবার চার ব্যক্তির শরীরে ওয়াশিংটনের সিয়াটলে কায়সার পার্মামেন্ট রিসার্চ ফ্যাসিলিটিতে এই টিকা দেওয়া হয়। চার সপ্তাহ পর টিকার দ্বিতীয় ডোজ পাবে তারা। এই টিকা বাজারে আসতে আরো সম্ভবত কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে।
এখনো বেশ কয়েকটি ধাপ পরীক্ষা-নিরীক্ষা বাকি থাকলেও কিছুটা হলেও আশার আলো দেখিয়েছে এই টিকার খবর। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সোমবার হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, ‘আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি, পরীক্ষামূলকভাবে প্রতিষেধক টিকা দেওয়ার প্রথম ধাপ শুরু হয়েছে। ইতিহাসে এত দ্রুত কোনো প্রতিষেধক টিকা প্রয়োগের নজির নেই। এমনকি কাছাকাছিও নেই। অ্যান্টিভাইরাল থেরাপি ও অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কারের চেষ্টাও আমরা চালিয়ে যাচ্ছি।’
এই টিকা কভিড-১৯-এর জেনেটেক কোডের অনুলিপি করে তৈরি করা হয়েছে। গবেষকরা জানান, এই গবেষণার ফল পেতে এখনো কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে। সিয়াটলের দুই সন্তানের মা ৪৩ বছর বয়সী জেনিফার হলার পরীক্ষামূলক এই টিকার প্রথম ডোজটি গ্রহণ করেন। নিজের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘কিছু একটা করতে পারার এ এক অভাবনীয় সুযোগ।’
যুক্তরাষ্ট্রের এই পরীক্ষামূলক চেষ্টার অর্থায়ন করেছে জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট। এই টিকা প্রস্তুতকারী কম্পনি মডেরনা থেরাপিউটিকসের ডিরেক্টর অ্যান্টনি এস ফাউচি বলেছেন, ‘সার্স-কোভ-২ প্রতিরোধে নিরাপদ ও কার্যকরী প্রতিষেধক টিকা আবিষ্কার চিকিৎসাক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি চাহিদা হয়ে উঠেছে। সেই লক্ষ্যে প্রথম পর্বের এই পরীক্ষা শুরু হয়েছে নজিরবিহীন দ্রুততার সঙ্গে।’ এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট জানায়, সার্স-কোভ-২ সংক্রমণ থেকেই কভিড-১৯ ভাইরাসের উৎপত্তি। এই কভিড-১৯ সংক্রমণ হলে মৃদু থেকে তীব্র শ্বাসকষ্ট হতে পারে। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
সেরা নিউজ/আকিব