ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
করোনার মৃত্যুপুরী ইতালিতে দুই হাজার ৬২৯ জন চিকিৎসক ও নার্স করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দেশটিতে মোট করোনা রোগীর ৮ দশমিক ৩ শতাংশ এখন ডাক্তার ও নার্সরাই।
বুধবার রাতে ইতালির হেলথ ফাউন্ডেশন এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, এতো বেশি সংখ্যক চিকিৎসক ও নার্স করোনা আক্রান্ত হওয়ায় এটা প্রমাণিত হয় যে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামের যথেষ্ট অভাব রয়েছে।
করোনার উৎসস্থল চীনেও এতো পরিমাণ চিকিৎসক-নার্স করোনায় আক্রান্ত হননি। চীনের চেয়ে এ সংখ্যা দ্বিগুণ। করোনা আক্রান্ত দুই হাজার ৬২৯ জন চিকিৎসক ও নার্সের মধ্যে গত আট দিনেই ১৫০০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
এ দিকে করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে দেশটির লকডাউন ব্যবস্থা আগামী এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়েছে দেশটির সরকার।
গত ২৪ ঘণ্টায় ইতালিতে সর্বোচ্চ ৪৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং চার হাজার ২০৭ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে দেশটিতে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড এটি। প্রায় প্রতিদিন নতুন মৃত্যুর রেকর্ড হচ্ছে সেখানে।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত করোনায় ইতালিতে মারা গেছে দুই হাজার ৯৭৮ জন, আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ হাজার ৭১৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার জন।
ইতালির দক্ষিণের শহর লম্ববার্ডি করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত। একদিনে সেখানে মারা গেছেন ৩১৯ জন।
চীনের উহানে উৎপত্তি হওয়া কোভিড-১৯ করোনার ভয়ানক ছোবল সবচেয়ে বেশি ইতালিতে। গত ডিসেম্বরে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাসে সারাবিশ্বে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৯ হাজার ২৮৩ জনের এবং আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ২৬ হাজার ৩১৭।
এশিয়া, আমেরিকা ও ইউরোপসহ সব মহাদেশ মিলে ১৭০টি দেশ ও অঞ্চলে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। চীন, ইতালির পর বর্তমানে সংক্রমণ ও মৃত্যুহারে ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হয়েছে ইরান, স্পেন, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রে।
সেরা নিউজ/আকিব