ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
নেপালে দুজনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। আর এতেই বৈঠক ডেকে দেশটি লকডাউন করে দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে দেশটিতে এই লকডাউন কার্যকর হবে। খবর দ্য হিমালয় টাইমস ও নেপাল টাইমসের।
দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবার আগে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল চীনের সীমান্তবর্তী এই দেশটিতে। এরপর থেকেই নানা ব্যবস্থায় এই ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকিয়ে রেখেছিল তারা।
প্রায় আড়াই মাস পর সোমবার দেশটিতে করোনা আক্রান্ত দ্বিতীয় রোগী পাওয়া গেছে। এর কয়েক ঘণ্টা পরই দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছে নেপাল সরকার।
সংবাদমাধ্যম জানায়, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় ভোর ৬টা থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত নেপালজুড়ে লকডাউন থাকবে।
নেপালে করোনা আক্রান্ত দু’জনই বিদেশফেরত। গত ১৩ জানুয়ারি গলায় জ্বালাপোড়া ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন চীনফেরত এক শিক্ষার্থী। দিন দশেক পর তার শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে।
এরপর ফ্রান্সফেরত এক কিশোরীর শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। ১৯ বছর বয়সী এই কিশোরী কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে গত সোমবার রাতে প্যারিসে নামে। এরপর দোহা থেকে ট্রানজিট নিয়ে সে পরদিন মঙ্গলবার সকাল ১০টায় কাঠমান্ডু পৌঁছায়।
বাড়ি ফেরার পর তার মধ্যে করোনার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। কিন্তু কয়েকদিন যাওয়ার পর সে অসুস্থ অনুভব করে এবং রোববার সে করোনা পরীক্ষা করায় এবং তার ফলাফল পজিটিভ আসায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রোগী খুব বেশি না হলেও ইতিমধ্যেই করোনা ঠেকাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে নেপাল সরকার। দেশজুড়ে সব সিনেমা হল, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, স্টেডিয়াম, জাদুঘর, সুইমিংপুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়া দেশটির রাজধানী কাঠমান্ডুতে সেনাবাহিনীর সদর দফতরে মডেল কোয়ারেন্টাইন জোন তৈরি করা হয়েছে। এতে অন্তত ৫৪টি তাঁবু রয়েছে। একেকটি তাঁবুতে দু’জন করে রোগী থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সেখানে একাধিক আইসোলেশন রুম, নিয়মিত চেক-আপ রুম, আলাদা পানির ট্যাপ রয়েছে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলার সময় কীভাবে রোগীদের সেবা দিতে হবে, ইতোমধ্যেই সুরক্ষা সামগ্রী পরে তার মহড়া করেছেন দেশটির সেনা সদস্যরা।
সেরা নিউজ/আকিব