করোনায় আতঙ্কের আশঙ্কায় অর্ধেক ব্রিটিশ - Shera TV
  1. [email protected] : akibmahmud :
  2. [email protected] : f@him :
করোনায় আতঙ্কের আশঙ্কায় অর্ধেক ব্রিটিশ - Shera TV
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০১ পূর্বাহ্ন

করোনায় আতঙ্কের আশঙ্কায় অর্ধেক ব্রিটিশ

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৬ মার্চ, ২০২০

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:

গত জানুয়ারি থেকে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিস্তার শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে ব্রিটেনের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে বলে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

একদিনে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা রেকর্ড ৮৭ জনে দাঁড়ানোর পর এমন গবেষণা প্রকাশ করে বিশ্ববিখ্যাত এই বিশ্ববিদ্যালয়। সব মিলিয়ে সরকারি হিসেবে ব্রিটেনে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মারা গেছে ৪৩৫ জন।
ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের মহামারী বিষয়ক তাত্ত্বিক বা থিওরিটিক্যাল প্রফেসর সুনেত্রা গুপ্ত করোনা সংক্রমণের হার নিয়ে গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাদের গবেষণায় বলা হয়েছে, ব্রিটেনে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া শুরু হয়েছে মধ্য জানুয়ারি থেকে। এর দু’সপ্তাহ পরে ব্রিটেনে প্রথম এই ভাইরাসে আক্রান্তের তথ্য মেলে।

এই ভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর এক মাস আগে এই সংক্রমণ শুরু হয় বলে গবেষণায় বলা হয়েছে। এর অর্থ হল, এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় পেয়েছে। তাই এই তত্ত্বের জন্য পরীক্ষা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।

সুনেত্রা গুপ্ত আরও বলেন, অবিলম্বে ব্যাপকভিত্তিক সেরোলজিক্যাল জরিপ শুরু করা উচিত আমাদের। এটা হল এন্টিবডি পরীক্ষা। এতে শরীরের রক্তরস ও অন্যান্য তরল নিয়ে পরীক্ষা করা হয়।

সুনেত্রা বলেন, মহামারী কি পর্যায়ে আছে তা নির্ধারণ করতে এই পরীক্ষা করা প্রয়োজন। একদিনে ইংল্যান্ডে কমপক্ষে ৮৭ জন মারা গেছে। এর মধ্যে লন্ডনের জাতীয় এক স্বাস্থ্য স্কিমের অধীনে এক ট্রাস্টেই মারা গেছেন ২১ জন। স্কটল্যান্ডে মারা গেছে দু’জন। এর আগের দিন আক্রান্ত ৫৪ জন ব্রিটিশ মারা যায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৬ গুণ।

গত মঙ্গলবার সেখানে মৃতের সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছিল ৭১ জন। বিষয়টি নিয়ে সরকারকে অবহিত করছে একটি গবেষণা। এ গবেষণা করছেন ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের বিশেষজ্ঞরা। তারা গবেষণায় এ রোগ নিয়ে যে তথ্য দিচ্ছেন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকদের তথ্য তার বিপরীতমুখী।

প্রফেসর সুনেত্রা গুপ্ত বলেন, ইম্পেরিয়ালের করা মডেলের অযোগ্য গ্রহণযোগ্যতায় আমি বিস্মিত। ইম্পেরিয়ালের গবেষণা সরকারকে একটি ব্যতিক্রমী শাটডাউনের দিকে নিয়ে গেছে। এর ভিত্তি হল এমন শাটডাউন না দিলে আড়াই লাখ মানুষ প্রাণ হারাতে পারে।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস মোকাবেলার চেষ্টায় ইউরোপের অন্যান্য দেশের মত যুক্তরাজ্যও জীবনযাত্রায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সোমবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে আগামী তিন সপ্তাহ দেশের নাগরিকদের যার যার বাসায় অবস্থান করতে বারবার অনুরোধ করেছেন।

তিনি বলেন, শরীরচর্চার প্রয়োজনে দিনে কেবল একবার বাসা থেকে বের হওয়া যাবে। যারা জরুরি সেবায় জড়িত, তারা কর্মস্থলে যেতে পারবেন। খাবার, ওষুধের মত জরুরি সামগ্রী কিনতে দোকানে বা চিকিৎসা কেন্দ্রে যাওয়া যাবে। জরুরি নিত্যপণ্যের বাইরে অন্য সব পণ্যের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাইরে একসঙ্গে দুইজনের বেশি কোথাও চলাফেরা করা যাবে না।

এদিকে সরকারের দেয়া এমন নির্দেশনাকে কোনও উপদেশ নয় বরং আইন বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক। তিনি বলেন, আইনশৃঙখলা বাহিনী দ্বারা এটি পরিচালিত হবে।

ম্যাট হ্যানকক আরও বলেন, কেউ যদি অপ্রয়োজনে বাইরে বের হয় তাকে ৩০ পাউন্ড থেকে ১ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে। এছাড়াও করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার জন্য কয়েক লাখ নতুন কিট ক্রয় করা হয়েছে, যা কয়েক দিনের মধ্যে যুক্তরাজ্যে পৌঁছাবে বলেও জানান তিনি।

সেরা নিউজ/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360