তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) খাতের জন্য যোগ্য কর্মীর ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষিতে বিপুল উদ্যমে কাজ করে যাচ্ছে নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক আইটি প্রশিক্ষণ ও জব প্লেসমেন্ট প্রতিষ্ঠান ট্রান্সফোটেক গ্লোবাল। উৎসাহী এবং আগ্রহী সকল বয়সের নারী এবং পুরুষ প্রশিক্ষণার্থীদের কর্মোক্ষম এবং স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতেই এই প্রতিষ্ঠানের আত্মপ্রকাশ বলে জানান এর প্রতিষ্ঠাতা সিইও তরুণ উদ্যোক্তা শেখ গালিব রহমান। আইটি শিল্পে তার রয়েছে দীর্ঘদিন কাজের অভিজ্ঞতা। ইতোপূর্বে তিনি ইউএস ফেডারেল ব্যাংকের কিউএ পরিচালক, হোমল্যান্ড সিকিউরিটির আইটি ম্যানেজার এবং এক্সেঞ্চার এর মত প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। তরুণদের; বিশেষ করে প্রবাসী তরুণদের স্বাবলম্বী করতে লোভনীয় সব চাকুরির হাতছানি উপেক্ষা করেই তিনি গড়ে তুলেছেন তাঁর স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান; ট্রান্সফোটেক গ্লোবাল।
বর্তমানে কিউএ টেস্টিং, বিজনেস এনালিস্ট, ক্লাউড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং সাইবার সিকিউরিটি সংক্রান্ত ৪টি পৃথক কোর্স পরিচালনা করছে ট্রান্সফোটেক গ্লোবাল এর অঙ্গ-প্রতিষ্ঠান ট্রান্সফোটেক একাডেমি। প্রশিক্ষণার্থীদের শুধু উপযুক্ত প্রশিক্ষণই নয়, প্রশিক্ষণের পর চাকরির নিশ্চয়তাও দিচ্ছে ট্রান্সফোটেক।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক নগরীর বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা জ্যামাইকায় প্রতিষ্ঠানটি মূলত তাদের প্রশিক্ষণসহ সকল কর্মকান্ড পরিচালনা করে থাকে। তবে বর্তমানে বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের ব্যপ্তি রোধে প্রতিষ্ঠানটির কর্মী ও শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বাড়ি থেকেই তাদের সকল কার্যক্রম সম্পাদন করছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির সিইও শেখ গালিব রহমান বলেন, “আমাদের শিক্ষার্থী, কর্মী এবং তাদের পরিবারের সুরক্ষা এবং সুস্বাস্থ্যের অগ্রাধিকার আমাদের কাছে সবার আগে। এমনকি মাইক্রোসফট, গুগল এর মত বৃহৎ প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কর্মীদের বাড়িতে বসে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে। করোনা সংক্রমন রোধে ন্যুনতম এইটুকু অবদান আমরা রাখতে পারি।” তিনি আরও বলেন, “বাড়িতে বসে পরিবারের সান্নিধ্যে থেকে কাজ করার কিছু সুবিধা রয়েছে যা ক্রমাগতভাবে এখন উন্নত বিশ্বেও সবাই উপলব্ধি করছে। এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা অফিসে বসে কাজ করেন তাদের চেয়ে যারা ঘরে থেকে কাজ করেন তারা বছরে ১৭ দিন বেশি কাজ করেন। আর এই সংকটময় সময়ে যেখানে গোটা বিশ্ব ব্যাবস্থা থমকে গিয়েছে, সীমান্ত বন্ধ হয়ে গিয়েছে; তখন বাড়িতে বসে কাজ করাটা আমি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত বলে মনে করছি।”
বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রশিক্ষণ পরিচালনা সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমরা অনলাইনে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করেছি। এবং তাদের জব প্লেসমেন্টের কাজও অনলাইনেই চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি, এর ফলে তাদের পেশাগত বা দৈনন্দিন জীবনে কোনো বিরূপ প্রভাব পরবে না।”
উল্লেখ্য মরনঘাতী নোভেল ১৯ করোনা ভাইরাসে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ আক্রান্ত হয়েছে। সারা পৃথিবীতে করোনা মহামারী আকার ধারন করেছে। আজ পর্যন্ত এই ভাইরাস প্রান হারিয়েছেন ২০ হাজারের অধিক এবং আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৫ লাখ মানুষ। আর এমন সংকটাপন্ন সময়ে ট্রান্সফোটেক গ্লোবাল এর এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মী এবং শিক্ষার্থী সহ সংশ্লিষ্ট সকলেই।
সেরা নিউজ/আকিব