অনলাইন ডেস্ক:
সংবাদ মাধ্যমে প্রায়ই দেখা যায়, গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্ফোরণে হতাহতের খবর। এই কিছুদিন আগেই রাজধানীর রুপনগরে সিলিন্ডার বিষ্ফোরণের ভয়াবহতা দেখেছে সারা দেশ।
এবার তেমনি এক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার লিটন দাসের স্ত্রী সঞ্চিতা। নিজেদের বাসার রান্নাঘরে চা বানানোর জন্য চুলা জ্বালানোর সময় বিষ্ফোরিত হয় সিলিন্ডার। এতে অল্পের জন্য মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে গেছেন সঞ্চিতা।
তবে ডান হাত এবং মাথার প্রায় সব চুল পুড়ে গেছে লিটনের স্ত্রীর। ঘটনার ভয়াবহতা ঠিক ভাষায় বোঝাতে পারছেন না সঞ্চিতা। তার মতে, মৃত্যুর খুব কাছ থেকেই ফিরে এসেছেন তিনি। নয়তো মুখে বা শরীরে আগুন ধরে গেলে আরও খারাপ কিছুই হতে পারতো বলে জানিয়েছেন লিটনপত্নী।
এ ঘটনার বিস্তারিত উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সঞ্চিতা লিখেছেন, ‘আমি আমার অনুভূতি প্রকাশ করতে পারব না। এটা আমার পক্ষে ভালো ও সহজ হবে না। কারণ মৃত্যুর খুব কাছ থেকে ফিরে এসেছি। আমি হাত দিয়ে মুখ না ঢাকলে হয়তো পুরো মুখই পুড়ে যেত। এখন আমার চুলগুলো কাটতে হবে (পুড়ে যাওয়ায়)। এটা খুবই কষ্টদায়ক কিন্তু আমি সুস্থ হয়ে ফিরতে পারব। যদি মুখে আগুন লেগে যেত, জানি না কী হতো। সুতরাং সিলিন্ডার ব্যবহার করার সময় সবাই সাবধান এবং আমার জন্য দোয়া করবেন।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘পরশুদিন (শুক্রবার) চা বানানোর জন্য আমি রান্নাঘরে যাই। চুলা জ্বালানোর গ্যাস চালু করলে প্রথমে সেটি না জ্বলে উল্টো নিভে যায়। আমি আবার চেষ্টা করলে সিলিন্ডারটি বিষ্ফোরিত হয়। তখন খুবই ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল।’
উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে নিজেকে বাঁচানোর জন্য আগে মুখ ঢাকেন সঞ্চিতা। পরে কোনোমতে বেরিয়ে আসেন রান্নাঘরে। তিনি লিখেছেন, ‘আমি ডান হাত আমার মুখ ঢাকার চেষ্টা করছিলাম। যে কারণে ডান হাতেই বেশি পুড়েছে। এরপর ঘুরে রান্নাঘর থেকে বের হওয়ার সময় আমার সব চুলে আগুন ধরে যায়। কোনোমতে সেখান থেকে বেরিয়ে আসি আমি।’
লিটনের স্ত্রী জানান, আগেরদিনই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে সিলিন্ডারের গ্যাস প্রায় শেষের দিকে। তবু সেটি ঠিকঠাক চলছিল দেখে অতোটা গুরুত্ব দেননি তিনি। আর তাতেই ঘটে গেলো এই দুর্ঘটনা, ‘আমি আগেরদিনই বুঝতে পারছিলাম যে গ্যাস প্রায় শেষ। তবু ভালোভাবেই চলছিল দেখে আমি গুরুত্ব দেইনি। হয়তো একদম শেষের গ্যাসটুকু বের হয়েই এমন বিষ্ফোরণ হয়েছে।’
সেরা নিউজ/আকিব