সেরা নিউজ ডেস্ক:
দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজে তাবলিগ জামাতে যোগ দেওয়া তিন বাংলাদেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের পালওয়াল এলাকার একটি গ্রামে তাদের পরীক্ষা করা হয়। ওই পরীক্ষায় তাদের শরীরে করোনার উপস্থিতি শনাক্ত হয় বলে জানিয়েছেন পালওয়ালের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা ব্রাহাম দীপ সিন্ধু।
ডা. সিন্ধুকে উদৃত করে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, ১৩-১৫ মার্চ দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজে তাবলিগ জামাতে অংশ নেওয়া ১০ বাংলাদেশিসহ ১২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এদের মধ্যে তিন বাংলাদেশির দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আরও জানান, রোহতাকের পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স-এ এই পরীক্ষা করা হয়। সাত জনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। বাকি দুজনের নমুনা গুরুগ্রামের বেসরকারি ল্যাবে পরবর্তী পরীক্ষার জন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ড. সিন্ধু বলেন, আক্রান্ত তিন বাংলাদেশির বয়স ত্রিশের কোটায়। তাদেরকে বেসামরিক হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
তাবলিগ জামাতে অংশ নেওয়া বাংলাদেশিরা হরিয়ানার পাঁচটি গ্রামের মসজিদে অবস্থান করেছেন। জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য টিমের সদস্যরা পাঁচটি গ্রামে যাচ্ছেন এবং খুঁজে বের করছেন বাংলাদেশিরা যাদের সংস্পর্শে এসেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ভাইরাসের বিস্তাররোধে আমরা গ্রামগুলোর সবাইকে পরীক্ষা করতে বলেছি। ইতোমধ্যে ওই পাঁচটি গ্রামের ৫৬ জনকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। ৯০ জনকে বেসরকারি হাসপাতালে এবং প্রায় ৩০০ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
গত ১ মার্চ দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজ মসজিদে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সংগঠন তবলিগ জামাতের একটি ধর্মীয় সমাবেশ শুরু হয়। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব ও কিরগিজস্তানের প্রতিনিধিসহ প্রায় দুই হাজার মানুষ ওই আয়োজনে অংশ নেন। ১৫ মার্চ অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরও অনেকে সেখানে থেকে যান। পরে করোনা ছড়িয়ে পড়লে মসজিদটি খালি করে দেওয়া হয়।
ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া ৮৫০ জনকে শনাক্ত করা গেছে। তাদের মধ্যে কোভিড-১৯ পজিটিভ অর্থাৎ করোনা শনাক্ত হয়েছে সাড়ে তিনশোরও বেশি মানুষের। তবলিগ জামাতের যোগসূত্রে বিভিন্ন রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১১ জনের।
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এই সমাবেশ করায় তাবলিগ জামাতের প্রধান মাওলানা সাদ কান্দলভিসহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ।
সেরা নিউজ/আকিব