দেশের ছয় জেলায় করোনা উপসর্গে ৬ জনের মৃত্যু - Shera TV
  1. [email protected] : sheraint :
  2. [email protected] : theophil :
দেশের ছয় জেলায় করোনা উপসর্গে ৬ জনের মৃত্যু - Shera TV
শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ০৩:৪০ অপরাহ্ন

দেশের ছয় জেলায় করোনা উপসর্গে ৬ জনের মৃত্যু

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ৬ এপ্রিল, ২০২০

ডেস্ক রিপোর্ট:

দেশের ছয় জেলায় করোনা উপসর্গে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ঢাকায় এক ব্যক্তি, নেত্রকোনায় এক নারী, শরীয়তপুরের নড়িয়ায় বৃদ্ধ, মাদারীপুরের কালকিনিতে এক ব্যক্তি, মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে গৃহবধূ ও বাগেরহাটের রামপালে এক ব্যক্তি মারা যান।

ঢাকার কেরানীগঞ্জে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এসব ব্যক্তির বাড়ি ও আশপাশের এলাকা লকডাউন করে পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।

ঢাকা : ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের (বয়স ৫০) মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাতে ঢামেকে ভর্তি করা হলে রোববার বেলা সোয়া ১২টার দিকে মারা যান এ দিনমজুর ব্যক্তি। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায়। মারা যাওয়া ব্যক্তির মেয়ে জানান, শনিবার হঠাৎ মাথাঘুরে পড়ে গেলে রাত সাড়ে ১২টার দিকে মেডিসিন ইউনিটের ৬০১নং ওয়ার্ডে তাকে ভর্তি করা হয়। পরে শ্বাসকষ্ট হলে তাকে হাসপাতালের নতুন ভবনের নিচতলায় আইসোলেশনে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার বাবার মৃত্যু হয়। ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, মৃত ব্যক্তির রক্তের নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে নিশ্চিত করা যাবে তিনি করোনাভাইরাসে মারা গেছেন না অন্য কোনো সমস্যা ছিল।

নেত্রকোনা : সর্দি ও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার হোগলা ইউনিয়নের কালীহর জোয়াদ্দারপাড়ায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার ভোর ৪টায় তিনি মারা যান। ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম খোকন জানান, চার দিন ধরে ওই নারীর হালকা জ্বর ও কাশি ছিল। হঠাৎ করে শনিবার থেকে শ্বাসকষ্টসহ পাতলা পায়খানা শুরু হয়। এ অবস্থায় রোববার ভোরে তিনি তার নিজ বাড়িতে মারা যান। পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার জানান, ওই নারীর করোনার উপসর্গ সন্দেহে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। রিপোর্ট এলে বিস্তারিত বলা যাবে। নেত্রকোনা ও পূর্বধলা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোরশেদা খানম জানান, ওই বাড়ির আশপাশের আটটি পরিবারকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।

শরীয়তপুর ও ভেদরগঞ্জ : করোনাভাইরাসে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এরপর সেই এলাকায় শনিবার রাত থেকে দুটি গ্রাম, একটি বাজার ও দুই আত্মীয়ের বাড়ি লকডাউন করে রাখা হয়েছে। ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, স্বাস্থ্য বিভাগের সদস্য ছাড়া অন্য কাউকে ঢুকতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে। ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজন সার্বক্ষণিক প্রহরায় রয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের ডা. আবদুর রশিদ বলেন, ওই ব্যক্তি করোনাভাইরাসে মারা গেছেন। এ কারণে আমরা ওই এলাকা লকডাউনের সুপারিশ করেছি। ফলে শনিবার রাত থেকে লকডাউন কার্যকর হয়েছে। এদিকে নড়িয়া উপজেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া বক্তির সংস্পর্শে আসায় ভেদরগঞ্জ উপজেলার আরও এক ব্যক্তির বাড়ি লকডাউন করেছে প্রশাসন।

কালকিনি (মাদারীপুর) : কালকিনি উপজেলার কয়ারিয়া এলাকার চরআলিমাবাদ গ্রামে শনিবার রাত ১২টায় এক ব্যক্তির জ্বর-গলা ব্যথায় মৃত্যু হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আলবিধান মোহাম্মদ সানাউল্লাহ বলেন, আমি এবং মেডিকেল অফিসার দু’জনে মিলে ওই ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে জানতে পেরেছি তিনি হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, প্রথমে যেটা প্রচার হয়েছে ফেসবুকে, ওঠা সঠিক নয়। মূলত আমরা জানতে পারলাম ওই ব্যক্তি হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেছেন।

রামপাল (বাগেরহাট) : রামপালে জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। রোববার ভোরে অসুস্থ হয়ে পড়লে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে হাসপাতালের সামনেই তিনি মারা যান। তার পরিবারের সদস্যরা জানান, তিনি কয়েকদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। মরহুমের নামাজে জানাজা রোববার বর্ণি ছায়রাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। পরে লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শুকান্ত কুমার পাল জানান, যেহেতু আমরা ওই লাশ থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে পারিনি সেহেতু ওই ব্যক্তি করোনাভাইরাসে মারা গেছে কিনা সেটা জানা সম্ভব হয়নি। তার পরিবারের সদস্যসহ ১০ দিন ধরে তিনি কোথায় কোথায় ঘোরাফেরা করেছেন তাদেরও চিহ্নিত করে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে।

টঙ্গীবাড়ী (মুন্সীগঞ্জ) : টঙ্গীবাড়ী উপজেলার চাষিরী গ্রামে এক নারী মারা গেছেন। ওই নারীর হঠাৎ শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোববার ভোররাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ডাক্তার বলেছেন, ওই গৃহবধূর শ্বাসকষ্ট, জন্ডিস ও লিভারে পানি এসে মারা গেছেন।

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) : কেরানীগঞ্জের কদমতলী মডেল টাউন এলাকায় এক ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। রোববার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মীর মোবারক হোসাইন। আক্রান্ত ব্যক্তি বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। রোববার বিকালে আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়িসহ মডেল টাউন এলাকা পুরোটা লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন। মডেল টাউনে ১৮০টি বাড়িতে ৪ হাজার পরিবার রয়েছে। করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার আগে ওই ব্যক্তি কেরানীগঞ্জের ইবনেসিনা ও জিনজিরা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসা নিয়েছেন। ফলে ওই দুটি প্রতিষ্ঠানও লকডাউন করা হয়েছে। লকডাউন করা এসব বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে লাল পতাকা টানিয়ে দেয়া হয়েছে।

সেরা নিউজ/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360