বিশ্বজুড়ে মহামারী করোনা ভাইরাসের আক্রমনে আক্রান্ত বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের ১৩ লাখ ৪৬ হাজার ৯৯১ জন। আর মারা গেছে প্রায় ৮০হাজার। বাংলাদেশেও এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ১৬৪ জন আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ১৭ জন। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী লকডাউনে রয়েছে বাংলাদেশ। এমন অবস্থাতেও চুপ করে নেই সামাজিক সংগঠন মশাল এর উদ্যোক্তা মারিয়া মুমু। গত ৪ সপ্তাহ ধরে স্বেচ্ছায় হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন তিনি। কিন্তু দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে ঘরে বসেই তার মশাল এর ৩০ জনের টিমকে সুংগঠিত করেছেন।
বাইরে লকডাউন থাকায় করোনা ভাইরাস সংক্রমন এড়াতে সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহার করছেন তারা। প্ল্যাকার্ডে সচেতনতা মূলক বিভিন্ন উক্তি লিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে মানুষদের সোচ্চার করছেন তিনি। এছাড়াও একটি ভিডিও বার্তায় মারিয়া মুমু সবাইকে ঘরে থাকার পরামর্শ দেন। একই সাথে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
মারিয়া মুমু সেরা নিউজকে জানান, মশাল যেহেতু মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে তাই আমরা একটি হটলাইন চালু করেছি। যেখানে ৩০ মিনিট করে মোট ৩ টি সেশনে সাইকোলজিস্ট পরামর্শ দিয়ে থাকেন। মানুষ দিনের পর দিন গৃহবন্দী হয়ে থাকার ফলে এক প্রকার মানসিক অবসাদ গ্রস্থতায় ভোগে, ডিপ্রেশনে চলে যায়। কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে আমরা যতটুকু সম্ভব সাহায্য করে যাচ্ছি। আমরা হটলাইনের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ৫ জনকে সেবা দিতে পেরেছি। ভবিষ্যতে এটা আরও বাড়বে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
উল্লেখ্য নিজের আত্মবিশ্বাস আর দৃঢ় প্রচেষ্টায় মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০১৯ এ অবস্থান গড়েছেন টপ ফাইভে।কাজ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানী ট্রান্সফোটেক ইনক এর রিক্রুটমেন্ট ম্যানেজার হিসেবে। এরপর থেকে মশাল জ্বেলে আলো ফেরাতে উদ্যম গতিতে ছুটে চলছেন মুমু। তারই ধারাবাহিকতায় সৃষ্টি করেছেন সংগঠন ‘মশাল’।
মারিয়া মুমুর ভিডিও বার্তা: