লকডাউনে ঘরে থাকার ফলে অনেকেরই ত্বকের সমস্যা কমে গিয়েছে। কারণ সরাসরি রোদের আলো ও ধুলাবালির সংস্পর্শে আসা হচ্ছে না। তবে এর মাঝেও অনেকের ত্বকের শুষ্কতা বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। এমনটা হতে পারে বহু কারণে। পর্যাপ্ত পানি পান না করা, পুষ্টিকর খাবার না খাওয়া, ত্বকের সঠিক যত্নে হেলাফেলা করা। এছাড়া আবহাওয়াজনিত কারণেও ত্বক তার স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারায়। যা থেকে শুষ্ক ত্বকের সমস্যা তৈরি হয়।
এ সমস্যায় মধুর ব্যবহার সবচেয়ে উপকারী। প্রাকৃতিক উপাদানের মাঝে মধ্য ত্বককে কোমল ও আর্দ্রতাপূর্ণ রাখতে সবচেয়ে বেশি ভালো ফল দেখায়। ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে জেনে নিন মধুতে তৈরি তিনটি ফেস প্যাকের বিবরণ।
মধু, হলুদ ও গ্লিসারিনের ফেসপ্যাক
বলা হয়ে থাকে হলুদের গুঁড়ায় রয়েছে ত্বকের জন্য থেরাপিউটিক উপকারিতা। সেই সাথে গ্লিসারিন ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতাকে ধরে রাখতে কার্যকরী উপাদান, বিধায় ত্বকের শুষ্কতার সমস্যা কমে যায় অনেকটা। ব্যবহারের জন্য এক টেবিল চামচ মধু, আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়া ও আধা চা চামচ গ্লিসারিন প্রয়োজন হবে।
এই সকল উপাদান একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখ, গলা ও ঘাড়ের ত্বকে এপ্লাই করে শুকানোর জন্য অপেক্ষা করতে হবে। শুকিয়ে আসলে ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে দুই বার এই ফেস প্যাকটি ব্যবহার করতে হবে।
মধু, অ্যালোভেরা জেল ও গোলাপজলের ফেসপ্যাক
এই ফেস প্যাকটি তৈরিতে ব্যবহৃত প্রতিটি উপাদানই ত্বকের শুষ্কতা দূর করে ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতাকে বজায় রাখতে অবদান রাখে। অ্যালোভেরা জেলের ময়েশ্চারাইজিং উপকারিতা এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখে। ব্যবহারের জন্য দুই চা চামচ অ্যালোভেরা জেল, এক চা চামচ মধু ও আধা চা চামচ গোলাপজল একসাথে মিশিয়ে মুখের ত্বকে অ্যাপ্লাই করতে হবে। আধা ঘন্টা অপেক্ষা করে ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
মধু, বেসন ও দুধের ফেসপ্যাক
বেসনের সবচেয়ে চমৎকার উপকারিতাটি হল এর এক্সফলেয়েটিং ধর্ম। যা ত্বকের উপরিভাগের মরা চামড়াকে সরিয়ে ফেলে সহজেউ। এর পাশাপাশি দুধের ল্যাকটিক অ্যাসিডও এক্সফলিয়েন্ট হিসেবে কাজ করে। সেই সাথে মধু ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। ব্যবহারের জন্য এক টেবিল চামচ বেসন, দুই টেবিল চামচ দুধ, এক টেবিল চামচ দুধ একসাথে মিশিয়ে মুখ, গলা ও ঘাড়ের অংশে এপ্লাই করতে হবে। শুকিয়ে আসলে ঘরোয়া তাপমাত্রার পানিতে ত্বক ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
সেরা নিউজ/আকিব