বিনোদন ডেস্ক:
জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশি। ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’র মধ্য দিয়ে জনপ্রিয়তা পান তিনি। এরইমধ্য তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেছেন। তার হাতে ‘মিশন এক্সট্রিম’, ‘রাত জাগা ফুল’ ও ‘আদম’সহ তিনটি চলচ্চিত্র আছে। তবে করোনা ভাইরাসে সবার মতো তিনিও এখন ঘরবন্দী। ঘরবন্দি কত দিন? ঐশি বলেন, ময়মনসিংহে ‘আদম’ ছবির শুটিং ছিল। সেখান থেকে ফিরেছি ১৮ মার্চ। সেই দিন থেকেই পুরোপুরি ঘরে। আমাদের শুটিং আরও চার দিন বাকি ছিল।
কিন্তু করোনার আতঙ্কের মধ্যে চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা আগেই ফিরে এসেছি। এরপর ঘর থেকে আর কোথাও বের হইনি। করোনা ভাইরাসের এই সময়টা কাটছে কীভাবে? তার ভাষ্য, আমি এখন নানা-নানির বাসায় আছি। একটু বেশি ঘুমাচ্ছি। এর বাইরে বাসায় সবার সঙ্গে গল্প করে সময় কাটে। এ ছাড়া ইউটিউবে কিছু সিনেমা দেখছি। ইদানীং নানির সঙ্গে রান্নাঘরে যাচ্ছি। নানির কাছ থেকে এবং ইউটিউব থেকে রান্না শিখছি।
একইসাথে টুকটাক রান্না করার চেষ্টা করছি। এই অবসরে কী ধরনের সিনেমা দেখছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বন্ধুরা কিছু সিনেমার তালিকা দিয়েছেন, সেগুলো দেখছি। পুরোনো দিনের আমার পছন্দের কিছু হিন্দি মুভি আবার নতুন করে দেখছি। ‘সিনড্রেলা’, ‘ফ্রোজেন টু’সহ কিছু অ্যানিমেশন ছবি ও কার্টুন দেখছি। আসছে ঈদে এই অভিনেত্রীর ‘মিশন এক্সট্রিম’ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা আছে।
এটি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঈদে এই সময়ের পরিস্থিতির কারণে ছবিটি মুক্তি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। এবার ঈদে মুক্তি না পেলেও কোনো আফসোস থাকবেনা। কারণ এখন আগে মানুষের জীবন। তারপর অন্য সব কিছু। করোনার এই পরিস্থিতির মধ্যে কাছের মানুষদের খোঁজ খবর কতটুকু রাখতে পারছেন? তিনি বলেন, আমার বাবা-মা দুজনই পিরোজপুরে থাকেন। বাবার বয়স হয়েছে। প্রতিদিনই খোঁজ নিচ্ছি।
তা ছাড়া বন্ধুবান্ধব, সহশিল্পীদেরও ফোনে খোঁজখবর রাখছি। তারাও আমার খোঁজ নিচ্ছেন।করোনাভাইরাসের মধ্যে ঐশির বেশ কিছু কাজ আটকে আছে বলেও জানান। সেগুলো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আদম’ ছবির শুটিং শেষ না করেই ফিরে এসেছি। এ ছাড়া ‘মিশন এক্সট্রিম’-এর দ্বিতীয় কিস্তি ও ‘রাতজাগা ফুল’ ছবির ডাবিং বাকি আছে। এই পরিস্থিতি না হলে এত দিনে দুটি ছবিরই ডাবিং হয়ে যেত।
সেরা নিউজ/আকিব