বাবার দাফন শেষে কোয়ারেন্টাইনে ইমরুল - Shera TV
  1. [email protected] : akibmahmud :
  2. [email protected] : f@him :
বাবার দাফন শেষে কোয়ারেন্টাইনে ইমরুল - Shera TV
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন

বাবার দাফন শেষে কোয়ারেন্টাইনে ইমরুল

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ২১ এপ্রিল, ২০২০

সেরা নিউজ ডেস্ক:
মেহেরপুরে এক সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন ইমরুলের পিতা বানি আমিন বিশ্বাস। বেশ কিছুদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে গতকাল রাজধানীর একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন তিনি। রাতেই মৃত পিতার লাশ নিয়ে নিজ গ্রাম মেহেরপুরে চলে যান জাতীয় দলের এই তারকা ব্যাটসম্যান। আজ সকালে তার দাফন সম্পন্ন হয়। দুর্ঘটনায় মারা গেলেও আজ থেকেই গোটা পরিবার নিয়ে হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন বলে দৈনিক মানবজমিনকে নিশ্চিত করেছেন ইমরুল। কারণ করোনা ভাইরাসের প্রকোপে গোটা দেশ এখন আতঙ্কিত। একে তো ঢাকায় ছিলেন, অন্যদিকে এই ক্রিকেটারের পরিবারকে হাসপাতালে কাটাতে হয়েছে বেশ কিছুদিন। তাই মেহেরপুরের সিভিল সার্জন ও স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা মেনে আগামী ১৪ দিন তার পরিবারের কেউ আর বাড়ি থেকে বের হবে না।

এ বিষয়ে ইমরুল বলেন, ‘অবশ্য এখন দেশের প্রতিটি নাগরিকের উচিত সরকারের নির্দেশনা মেনে চলা। কারণ ভাইরাসটি ছোঁয়াচে। আমরা যেহেতু হাসপাতালে ছিলাম ও ঢাকাতে ছুটাছুটি করতে হয়েছে তাই নিজের, পরিবার ও এলাকার মানুষের কথা চিন্তা করেই হোম কোয়ারেন্টিনে থাকবো। সেই সঙ্গে সবার কাছে আমি আমার পিতা ও পরিবারের জন্য দোয়া চাই।’
ইমরুল জানিয়েছেন, সামাজিক সচেতনার কারণে তার পিতার জনাযায় তেমন লোক সমাগম হতে দেননি তারা। তিনি বলেন, ‘বাবা মারা যাওয়ার পর আমাদের এলাকার প্রশাসন আমার কাছে সাহায্য চায় যেন জনসমাগম না হয়। আমরা সেটিই করেছি। শুধু মাত্র ৪০ থেকে ৫০ জন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই জানাযা ও দাফনে অংশ নেয়। এমনকি দাফনের সময়ও কবরস্থানে এক সঙ্গে সবাই য়ায়নি। আলাদা আলদাভাবে পরে গেছে।

 

সত্যি কথা বলতে দেশের যে অবস্থা, এখন সরকারের সব নির্দেশনা মেনেই আমাদের চলতে হবে। নিজের ভুলে কেন অন্যের বিপদ ডেকে আনবো?।’
পিতার মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন ইমরুল। দুর্ঘটনার পরও তার পিতা অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে এভাবে চলে যাবেন তা ভাবতে পারেননি জাতীয় দলের এই ওপেনার। তিনি বলেন, ‘মেহেরপুরে যখন নসিমনের সঙ্গে দুর্ঘটনা হয় তাকে আমরা ঢাকা স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসি।

 

গাড়ি বন্ধ থাকায় হেলিকপ্টারে নিয়ে আসা হয়। মাথায় আঘাতের কারণে তার একটা সার্জারি হয়। এরপর তিনি ধীরে ধীরে ভালোর দিকেই যাচ্ছিলেন। কিন্তু আইসিইউতে থাকতে থাকতে তার ইনফেশন হয়ে যায়। শরীরের ওষুধ নেয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। কাল রাতে হঠাৎ করেই আমাদের ছেড়ে চলে যান। সব আল্লাহর ইচ্ছা। আমি চাই দেশের সবাই যেন আমার বাবার জন্য দোয়া করেন।’

সেরা নিউজ/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360