ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
আগামী বৃহস্পতিবার (২৩শে এপ্রিল) থেকে বৃটেনে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির তৈরি করোনা ভাইরাসের একটি টিকার মানব দেহে পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। বৃটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এমনটা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিশ্ব করোনার প্রথম টিকা তৈরিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। টিকাটি তৈরিতে এর গবেষণা দলকে অতিরিক্ত ২ কোটি পাউন্ড দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বৃটিশ সরকার। এ খবর দিয়েছে দ্য ডেইলি মেইল।
খবরে বলা হয়, সিএইচএডিওএক্স১ এনসিওভি-১৯ নামের ওই টিকাটির মানব দেহে পরীক্ষা শুরু করা হবে ইউনিভার্সিটি হসপিটাল সাউথাম্পটনে। এটাই ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা শুরু করা একমাত্র বৃটিশ টিকা।
প্রসঙ্গত, বিশ্বজুড়ে ১ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনা ভাইরাস। আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ লাখের বেশি মানুষ। এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের কোনো স্বীকৃত ওষুধ বা টিকা তৈরি হয়নি।
বিশ্বজুড়ে অসংখ্য গবেষক ও বিজ্ঞানীরা এর টিকা তৈরির চেষ্টা করছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুসারে, ৭০টিরও বেশি টিকা নিয়ে বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা কাজ করছেন। এর মধ্যে টিকা তৈরির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধাপ ‘মানব দেহে পরীক্ষা’ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি ও চীনের একটি প্রতিষ্ঠান। নতুন করে সে তালিকায় যুক্ত হতে যাচ্ছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের একটি দল।
অক্সফোর্ডে দলটি শিম্পাঞ্জির দেহ থেকে অ্যান্টিবডি নিয়ে টিকা তৈরির চেষ্টা করছে। এজন্য শিম্পাঞ্জির দেহে প্রথমে ভাইরাসটি প্রবেশ করানো হয়। ভাইরাস থেকে বাঁচতে প্রাণীটির দেহে একধরনের অ্যান্টিবডি সৃষ্টি হয়। অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন গ্রুপ ও জেনার ইন্সটিটিউট যৌথভাবে এই টিকা তৈরির কাজ করছে। তাদের প্রত্যাশা আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই তারা টিকাটি মানুষের মধ্যে ব্যবহার উপযোগী করে তুলতে পারবে। তবে সেটি বাজারে আসতে দেরি হতে পারে।
সাধারণত কোনো ভাইরাসের টিকা বাজারে আসতে ১০ থেকে ৫ বছর লেগে যায়। কিন্তু, বর্তমানে করোনার টিকা আগামী ১ থেক ২ বছরের মধ্যে বাজারে আনার চেষ্টা করছে বিশ্বজুড়ে কয়েক ডজন প্রতিষ্ঠান। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী বছরের আগে কোনো টিকা বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের সম্ভাবনা নেই।
সেরা নিউজ/আকিব