ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
করোনাভাইরাসের অভিশাপ ধীরে ধীরে কাটতে শুরু করেছে বেলজিয়ামে। সংক্রমণের হার কমতে শুরু করায় আগেই আগামী সপ্তাহে লকডাউন শিথিলের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। এর মধ্যেই এসেছে নতুন সুখবর। লকডাউন শুরুর প্রায় দেড় মাস পর রোববার বেলজিয়ামের হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা নেমে এসেছে সর্বনিম্ন পর্যায়ে।
সোমবার বেলজিয়ামের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে হাসপাতালে রোগী ভর্তি হয়েছেন ১২৭ জন, যা গত ১৮ মার্চ থেকে একদিনে সর্বনিম্ন রেকর্ড। মার্চের শেষের দিকে ইউরোপের দেশটিতে দৈনিক ছয় শতাধিক করোনা রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত এক সপ্তাহ ধরে সেখানে রোগী ভর্তির হার ছিল গড়ে দুইশ’র মতো।
হাসপাতালে কম রোগী ভর্তির পাশাপাশি বেলজিয়ামে কমেছে নতুন রোগী শনাক্তের সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ৫৫৩ জনের শরীরে শনাক্ত হয়েছে নভেল করোনাভাইরাস। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৬ হাজার ৬৮৭ জন।
প্রায় ১ কোটি ১৫ লাখ জনসংখ্যার দেশ বেলজিয়ামে করোনা মহামারির কারণে গত ১৪ মার্চ থেকে বন্ধ করে দেয়া হয় সব স্কুল, রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে ও জিম। আর ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় খাদ্যপণ্য বিক্রেতা ছাড়া বাকি সব দোকানপাট। ভাইরাসের প্রকোপ কমে আসায় আগামী ৪ মে থেকে ধারাবাহিকভাবে লকডাউন শিথিলের ঘোষণা দিয়েছে বেলজিয়াম সরকার।
তবে লকডাউন শিথিল হলেও সবাইকে স্বাস্থ্যগত সতর্কতা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন বেলজিয়ান করোনাভাইরাস টাস্ক ফোর্সের মুখপাত্র ভাইরোলজিস্ট স্টিভেন ভ্যান গুশ।
সোমবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, করোনার বিস্তার প্রতিরোধে এখনও সবাইকে ঘরে থাকা উচিত। পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও এখনই লকডাউন পুরোপুরি তুলে নেয়া যাবে না। আগামী কয়েক সপ্তাহ দেশজুড়ে সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক পরার নির্দেশনা বহাল থাকবে।
করোনায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হওয়া দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বেলজিয়াম। সেখানে এ পর্যন্ত অন্তত ৭ হাজার ২০৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তবে অনেক দেশ না পারলেও বেলজিয়াম কর্তৃপক্ষ হাসপাতালের বাইরে প্রাণহানিও তাদের গণনায় অন্তর্ভুক্ত করেছে, যা সেখানে মোট প্রাণহানির প্রায় অর্ধেক।
সূত্র: রয়টার্স
সেরা নিউজ/আকিব