সেরা নিউজ ডেস্ক:
মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রে লাখ লাখ মানুষ নতুন করে বেকার হয়েছেন। দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয়ের আজ বৃহস্পতিবার দেওয়া সবশেষ হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে বেকার হওয়ার কারণে সংশ্লিষ্ট বিভাগে বেকার সুবিধার জন্য আবেদন জমা পড়েছে ৩৮ মিলিয়নেরও বেশি। খবর সিএনএন।
মার্কিন শ্রম মন্ত্রণালয় ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত জমা পড়া আবেদনের ভিত্তিতে এই হিসাব দিয়েছে। তাতে বলা হচ্ছে, এখন যুক্তরাষ্ট্রে যে ৩ কোটি ৮০ লাখের বেশি মানুষ বেকার রয়েছেন তাদের মধ্যে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পরই অর্থাৎ গত ছয় সপ্তাহে বেকার হয়েছেন ৩ কোটিরও বেশি।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বেকার হওয়া এই অংশটি দেশের মোট শ্রমশক্তির ১৮ দশমিক ৬ শতাংশের সমান। মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে রেকর্ড সর্বোচ্চ ৬৯ লাখ মানুষ বেকার হয়েছেন বলে জানান। তবে এরপর চলতি মাসের গত চার সপ্তাহে তুলনামূলক ভাবে সংখ্যাটা কিছুটা কমেছে।
তবে দেশটিতে মোটের ওপর যত মানুষ চাকরি হারিয়েছেন তা ভয়াবহ। আগামীকাল ১ মে, আর এইদিনে দেশটির লাখ লাখ মানুষ তাদের বাড়িভাড়াসহ অন্যান ধারদেনা শোধ করতে পারবেন না। আর বেকার থাকার কারণে দেশটিতে সরকারের পক্ষ থেকে যে আর্থিক সুবিধা দেওয়া হয় তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম।
আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরো আনুষ্ঠানিকভাবে এপ্রিলের চাকরি সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। ধারণা করা হচ্ছে, তাতে দেখা যাবে দেশটিতে এপ্রিলে বেকারত্বের হার বেড়েছে ১৪ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৪৮ সাল থেকে প্রতিমাসে চাকরি সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ শুরুর পর এতটা কখনোই হয়নি।
গত শতাব্দীর ত্রিশের দশকে অর্থনৈতিক মহামন্দা চলাকালীন ১৯৩৩ সালে দেশটির বার্ষিক বেকারত্বের হার ছিল ২৪ দশমিক ৯ শতাংশ। দেশটির বিশেষজ্ঞ অনেকে বলছেন, বেকারত্বের হার আরও কতটা বাড়বে এবং কবে নাগাদ এটা কমতে শুরু করবে নির্ভর করছে করোনার পর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রমের ওপর।
সেরা নিউজ/আকিব