সেরা নিউজ ডেস্ক:
উৎপত্তির চার মাস পর মহামারী করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর সংখ্যা আড়াই লাখ ছাড়িয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে চীনের উহান শহরে এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের জন্ম। এরপর দ্রুত গতিতে বিশ্বের ২৩০টি দেশে ছড়িয়ে পরে ভাইরাসটি।
আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারে দেয়া সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, এ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ লাখ ৫৬ হাজার ২৫২ জন। এ পর্যন্ত এই ভাইরাসে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ লাখ ৯৮ হাজার ২৭৭ জন। সুস্থ হয়েছেন ১২ লাখ ২৬ হাজার ২৩৫ জন। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২২ লাখ ১৫ হাজার ৭৯০ জন। এদের মধ্যে প্রায় ৫০ হাজার রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির এক জরিপ জানিয়েছে, করোনাভাইরাসে গত আট দিনে আরও ৫০ হাজার মানুষ বিশ্ব থেকে হারিয়ে গেছে। এর আগের ৫০ হাজারের মৃত্যুতে লেগেছিল সাত দিন। প্রথম ১ লাখ ছুঁতে ভাইরাসটির ৯০ দিন সময় লেগেছিল। ওই জরিপ আরও বলছে, এ পর্যন্ত মোট আড়াই লাখ মৃত্যুর এক-চতুর্থাংশই ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে করোনায় এখন পর্যন্ত ৭১ হাজার ২২৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। এর ধারেকাছেও নেই অন্য কোনো দেশ। ইতিমধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ১২ লাখ ২৫ হাজার ছাড়িয়েছে দেশটিতে। মৃতের সংখ্যা দ্রুত গতিতে লাখের দিকে যাচ্ছে। মৃতের সংখ্যা লাখ ছাড়াবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তবে দেশটিতে মৃতের হার বিপর্যস্ত অন্য দেশগুলোর তুলনায় কম। আক্রান্তদের মধ্যে ৫ দশমিক ৮ শতাংশেরই মৃত্যু ঘটেছে সেখানে।
মৃত্যুর হারে শীর্ষে অবস্থান করছে ইউরোপের দেশ বেলজিয়াম। সেখানে মোট আক্রান্তের ১৫ দশমিক ৭ শতাংশের মৃত্যু ঘটেছে। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার জন, তার মধ্যে মারা গেছে ৭ হাজার ৮৪৪ জন। এ পর্যন্ত আড়াই লাখ মৃত্যুর মধ্যে অর্ধেকের বেশি মানুষ ইউরোপের। গত এপ্রিলে ইউরোপের ইতালি, স্পেন, যুক্তরাজ্য আর ফ্রান্সে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে করোনাভাইরাস।
আক্রান্তের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরেই স্পেনের স্থান। স্পেনে ২ লাখ ৫০ হাজার আক্রান্তের মধ্যে মারা গেছে ২৫ হাজার। তৃতীয়তে স্থান নেয়া ইতালিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ১৩ হাজার। মারা গেছে ২৯ হাজারের কিছু বেশি। ইউরোপে মৃত্যু সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাজ্য। সেখানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৯৫ হাজার এবং মারা গেছে ২৯ হাজার ৪২৭ জন। ফ্রান্সে মারা গেছে প্রায় ২৫ হাজার, দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬৮ হাজার।
মে মাসের শুরু থেকে এসব দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দুটোই কমতে শুরু করেছে। যে কারণে লকডাউনে শিথিলতা এনেছে দেশগুলোর সরকার। টানা ৫ সপ্তাহ পর খোলা আকাশের নিচে শিশুদের খেলতে দেখা গেছে সেসব দেশে। দক্ষিণ এশিয়ায় মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ভারতে। দেশটিতে আক্রান্ত ৪৬ হাজারের মধ্যে দেড় হাজারের মৃত্যু ঘটেছে। পাকিস্তানে ২১ হাজার আক্রান্তের মধ্যে মৃত্যু ঘটেছে ৪৭৬ জনের।
সেরা নিউজ/আকিব