বিনোদন ডেস্ক:
করোনা ভাইরাসের জন্য দিব্যি ঘরবন্দি হয়ে সময় কাটাচ্ছেন মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন জেসিয়া ইসলাম। অথচ ফেসবুকে রটে গেছে মারা গেছেন তিনি! রটবেই না কেনো? ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তার আইডিতে ‘রিমেম্বারিং’ লিখে দিয়েছে।
কোনো ফেসবুক ব্যবহারকারী মারা যাওয়ার পর বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে সেই অ্যাকাউন্ট সাধারণত ‘রিমেম্বারিং’ করে রাখে ফেসবুক।
অথচ ফেসবুকে যখন এ ঘটনা রটে তখন বাসায় ঘুমুচ্ছিলেন জেসিয়া। ঘুম থেকে উঠে জেসিয়া নিজের মৃত্যুর খবরে শুধু অবাকই নন; ক্ষিপ্তও হলেন। প্রকাশ করলেন ঘৃণা। শনিবার রাতে এমনটিই জানালেন জেসিয়া।
শুধু জেসিয়া নন, তার মা রাজিয়া সুলতানাও বেশ ক্ষিপ্ত। যারা এমনটি ঘটিয়েছেন তাদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেন তিনি।
জেসিয়া বলেন, ‘শুক্রবার সকালে ফোন হাতে নিয়ে দেখলাম, “রিমেম্বারিং জেসিয়া ইসলাম”! আমার মৃত্যুসংবাদ আমিই দেখছি! জানতে পেরেছি, কয়েকজন মিলে আমার আইডিতে রিপোর্ট করেছে। কিন্তু ফেসবুক কর্তৃপক্ষেরও তো কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টা সময় নিতে পারত। যাচাই–বাছাই করতে পারত! তা না করে লিখে দিল রিমেম্বারিং! মানলাম, অনেক দিক থেকে আমি ফানি হতে পারি। তাই বলে জীবিত আমাকে মেরে ফেলাটা মজার কিছু! সত্যিই কি তা–ই! আমি বাক্রুদ্ধ। কী বলব, বুঝে উঠতে পারছি না।’
শুক্রবার সকালে জেসিয়া অনেক ফোন ও এসএমএস পান। জেসিয়া বলেন, ‘ফোন ধরতেই সবার একটাই জিজ্ঞাসা, আমি সত্যিই বেঁচে আছি কি? এর আগে অনেক কিছু আমার আবেগে আঘাত করে, তবে এবার তা করেনি, কী বলা উচিত বুঝতে পারিনি।’
জেসিয়া বলে চলেন, ‘সবাইকে বলতে চাই, আমি দেখতে অসুন্দর হতে পারি, তবে সেটা আমি। মাঝেমধ্যে উল্টাপাল্টা কথা বলি, আগ পিছ কিছু ভাবি না—মনে রাখবেন ওটাই আসলে আমি। আমি এত হিসাব–নিকাশ করে চলি না। আমি আমার মুডে চলি। আপনাদের বলতে চাই, ভবিষ্যতে এই ধরনের কোনো কিছু করতে আসবেন না। মনে রাখবেন, বুলিং কখনোই মজা হতে পারে না। এতে একটা পরিবার চরমভাবে বিপর্যস্ত হয়, যা করার কোনো অধিকার আপনাদের নেই। এটা অনেক বড় ধরনের অপরাধ। কারও লাইফস্টাইল আপনার কিংবা আপনাদের ভালো নাও লাগতে পারে, তাই বলে যা খুশি তা বলতে পারেন না।’
আগে থেকে বিভিন্ন পণ্যের স্থিরচিত্রে মডেল হিসেবে কাজ করলেও মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে সবার নজরে আসেন জেসিয়া ইসলাম। এরপর বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায়। সেখানে সেরা ৪০-এর মধ্যে ছিলেন তিনি।
সেরা নিউজ/আকিব