বিনোদন ডেস্ক:
দীর্ঘ পঁচিশ বছর পর পুরো রোজার মাস নিজ গ্রামের বাড়ি খুলনাতে পার করছেন নায়িকা পপি। শুধু তাই নয় পুরো রোজার মাসে সেখানে থেকে রোজা রেখে ঈদ উল ফিতর উদযাপন করে তারপর ঢাকায় আসার চিন্তা করছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এ অভিনেত্রী। ১৯৯৫ সালে খুলনা থেকে ঢাকায় আসেন পপি। সেই বছরই তিনি ‘লাক্স আনন্দ বিচিত্রা’ ফটোসুন্দরী হন। পরের বছর শহীদুল হক খানের নির্দেশনায় ‘নায়ক’ নাটকে অভিনয় করেন ইলিয়াস কাঞ্চনের বিপরীতে। তার পরের বছর মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘কুলি’ সিনেমাটি মুক্তি পায়। সিনেমাতে তার বিপরীতে ছিলেন ওমরসানী। এই ‘কুলি’ সিনেমার মধ্যদিয়েই সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেন পপি।
পরবর্তীতে তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক হিট, সুপারহিট সিনেমা দর্শককে উপহার দিয়েছেন তিনি। করোনা ভাইরাসের বড় রকমের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার আগেই পপি গ্রামের বাড়ি খুলনাতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে লকডাউনের মধ্যে আর ঢাকায় ফিরে আসতে পারেননি। বাবা মা, ভাই বোনের সঙ্গে খুলনাতে নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছেন।
দীর্ঘ পঁচিশ বছর পর নিজ গ্রামের বাড়িতে রোজা পালন করা প্রসঙ্গে পপি বলেন, সেই যে ১৯৯৫ সালে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য রাজধানীতে গিয়েছিলাম, এরপর আর গ্রামের বাড়িতে এসে রোজা পালন করার কোনোই সুযোগ ছিল না। কিন্তু এখন পরিস্থিতির শিকার হয়েই হোক কিংবা বাধ্য হয়েই হোক রোজা নিজ গ্রামের বাড়িতেই করছি। এখানে দাদা দাদী নেই।
কিন্তু চাচা চাচী, ফুফু, কাজিনরা আছেন। বেশ ভালো সময় কাটছে আমার, আমাদের সবার। অনেক ভালোলাগা নিয়েই রোজা রাখছি। পঁচিশ বছর পর গ্রামের রোজার পরিবেশটাও নিজের মনের মধ্যে অন্যরকম ভালোলাগার পরশ বুলিয়ে যাচ্ছে। আল্লাহর অশেষ রহমতে সবকটি রোজাই এখন পর্যন্ত রেখেছি। ভালোভাবে রোজা শেষ করার পর আসছে আমাদের সবার প্রিয় সেই ঈদ। জানি এবারের ঈদ অনেকের জন্যই কষ্টের হবে। তারপরও এই কষ্টের মধ্যেই আমাদেরকে ঈদ উদযাপন করতে হবে। যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী যার যার পাশের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। ইনশাআল্লাহ আমার বিশ্বাস সুন্দর সময় অবশ্যই আবার আসবে ফিরে।
এদিকে করোনা ভাইরাসের কারণে বিপর্যস্ত বাংলাদেশের মানুষ। যদিও লকডাউন চলছে। কিন্তু লকডাউন না মেনেই মানুষ নানানভাবে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে দিয়ে এর ব্যাপকতাকে বাড়াচ্ছে। পপি খুলনাতেই করোনায় অসহায় সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন সহযোগিতার হাত নিয়ে। খাবার দেয়া থেকে শুরু করে তিনি মাস্ক, হ্যা-স্যানিটাইজারও বিতরণ করেছেন। দু:খী, অসহায় মানুষের পাশে পপি সবসময়ই ছিলেন। এখন যেন সেই দায়িত্ব তার আরো একটু বেশি, এমনটাই জানালেন পপি।
সেরা নিউজ/আকিব