সেরা নিউজ ডেস্ক:
বিশ্বজুড়ে লকডাউনে যখন গোটা পৃথিবী থমকে আছে ঠিক তখনই কেউ না কেউ মশাল হাতে আলো জ্বেলে এগিয়ে আসে প্রানে আশা ফেরাতে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বেড়িয়ে পরে গণমানুষের স্বার্থে। ঠিক তেমনই একজনের কথা বলছি যিনি যুক্তরাষ্ট্রে নীজের জীবনকে বিপন্ন করে মানবসেবায় কাজ করছেন। বলছি বাংলাদেশি আহমেদ সঞ্জিব এর কথা।
বাংলাদেশী এই তরুন ২০১২ সালে পা রাখেন নিউইয়র্কে। এরপর বিভিন্ন সংগ্রাম আর চড়াই উৎরাই এর মধ্য দিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন।কোভিড-১৯ কালীন সময়ে বেকার ভাতা নিয়ে ঘরে বসে দিব্যি সময় কাটাতে পারতেন তিনি। কিন্তু তা না করে নিজের মেধাবল ও অদম্য স্পৃহাকে কাজে লাগিয়ে যোগ দেন নিউইয়র্ক স্টেট এর অধীনে আমেরিকান ডিপার্টমেন্ট অব লেবারে ডাটা এনালিস্ট পদে। কিন্তু সুযোগ পেলেই কোভিড-১৯ কালীন সহযোগীতায় নেমে পড়েন তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমেরিকায় সার্ভাইভ করার পথটা আমার জন্য অতটা সহজ ছিলো না। চাইলেই আমি করোনাকালীন সময়ে বেশ মোটা অংকের বেতন নিয়ে বাসায় থাকতে পারতাম। কিন্তু তা না করে আমি আমার টার্গেট পূরন করার জন্য পড়াশোনা ও চাকরির জন্য ট্রাই করতে থাকি। অবশেষে আমি সফল হয়েছি এবং এখন আমি আমেরিকান ডিপার্টমেন্ট অব লেবারে ডাটা এনালিস্ট পদে কাজ করছি।
সঞ্জিব বলেন প্রতিদিনই আমার কাছে ৪/৫ জন বাংলাদেশী আসেন যারা বেকার ভাতার জন্য ক্লেইম করছেন বা শ্রমিক আইন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে জটিলতায় ভুগছেন। আমি তাদের সমস্যাগুলো শুনে যতটা সম্ভব সমাধানের চেষ্টা করছি। তবে শুধু বাংলাদেশী নয় এই ধরনের সমস্যা নিয়ে যারা আসছেন তাদের জন্যও কাজ করে যাচ্ছি।
করোনাকালীন সময়ে অসহায়দের পাশে দাঁড়ানো প্রসঙ্গে বলেন, এমন ক্রান্তিকালীন সময়ে যদি একজনের পাশে দাড়াতে পারি তাতেও নীজের জীবন স্বার্থক বলে মনে হয়। আর এই কাজের জন্য সবার থেকে প্রচুর সাহস ও গুড উইশেস পাচ্ছি যেটা জীবনের চলার পথে অনেক প্রয়োজন।
উল্লেখ্য বাংলাদেশের শরীয়তপুর জেলার সন্তান আহমেদ সঞ্জিব নিউইয়র্কে
২০১৯ সালে তথ্য প্রযুক্তি (আইটি) মেজর সাথে এনওয়াইয়ের নাসাউ কমিউনিটি কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। এবং বর্তমানে তিনি ম্যানহাটনে জে.জে কলেজে সাইবার সিকিউরিটিতে ক্রিমিনাল জাস্টিস বিষয়ে স্নাতক করছেন। বর্তমানে ডাটা এনালিস্ট হিসেবে কাজ করলেও ব্যাচেলর ডিগ্রী নেয়ার পরে সাইবার সিকিউরিটিতে ক্যারিয়ার গড়তে চান তিনি।
সেরা নিউজ/আকিব