বিনোদন ডেস্ক:
গণমাধ্যমকে হুঁশিয়ার করলেন অপূর্ব। স্পষ্ট ভাষায় তিনি বললেন, ‘তৃতীয় কাউকে জড়িয়ে কোনও ধরনের ভুল সংবাদ প্রকাশ করলে আমি তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ব্যবস্থা নেবো।’
বলে রাখা দরকার, অপূর্ব-অদিতির বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে একজন অভিনেত্রীর নাম ভেসে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবং দেশের বেশ ক’টি সংবাদমাধ্যমেও খবরটি এসেছে। মূলত সেই খবরের সূত্র ধরেই সোমবার (১৮ মে) রাত ২টার দিকে এই হুঁশিয়ারি দেন সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় টিভি অভিনেতা অপূর্ব।
নিজের ফেসবুক ওয়ালে দেওয়া ওই বক্তব্যে অপূর্ব বলেন, ‘ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে গসিপ করা এবং তির্যক, মিথ্যা, বানোয়াট মন্তব্য করে কারও কষ্ট বাড়িয়ে দেওয়ার মতো খারাপ কাজগুলো থেকে সবাই বিরত থাকবেন। এবং রসালো কোনও গল্প তৈরি করে সংবাদ করার চেষ্টা করবেন না, প্লিজ।’
অদিতি সম্পর্কে বলেন, ‘অত্যন্ত সম্মানের সাথে জানাচ্ছি, আমি এবং আমার স্ত্রী অদিতি অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ সমাধানের মধ্যদিয়ে সম্পর্কের আইনগত ইতি টেনেছি। কোনও সংবাদমাধ্যম এই ব্যাপারটাতে তৃতীয় কাউকে জড়িয়ে কোনও ধরণের ভুল সংবাদ প্রকাশ করলে আমি তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ব্যবস্থা নেবো। এরমধ্যে প্রকাশিত কিছু সংবাদের লিংক আমি সংগ্রহ করেছি।’
অপূর্ব অদিতির প্রসঙ্গ টেনে আরও বলেন, ‘আমি অদিতিকে সম্মান করি এবং আজীবন করবো।
সুতরাং কোনোভাবেই অদিতিকে অসম্মান করে তার পাশে অন্য কারও নাম আমি সহ্য করবো না। ভুলে যাবেন না, অদিতি এখন আইনগত ভাবে আমার স্ত্রী না থাকলেও সে আমার সন্তানের মা।’
১৭ মে সন্ধ্যায় অদিতি হাসান তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন, ‘আমাকে ভাবি বলা সবাই বন্ধ করুন।’ এবং রিলেশনশিপ স্ট্যাটাসে যোগ করেন, ‘ডিভোর্সড’।
এমন ঘটনার দুই ঘণ্টার মাথায় পুরো বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন নাজিয়া হাসান অদিতি। বললেন বিস্তারিত। যার পুরোটাজুড়েই ছিল অভিনেতা অপূর্বকে ঘিরে। এরপর একইভাবে নিজেদের বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে পোস্ট দেন অপূর্ব।
২০১১ সালের ১৪ জুলাই নাজিয়া হাসান অদিতিকে বিয়ে করেন অপূর্ব।
সেরা নিউজ/আকিব