ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
সারা বিশ্বে চলছে করোনার মহামারি। তবে ভারত-চীন সীমান্তে চলছে দুই দেশের উসকানি। আকসাই চীন এলাকার গলওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে ‘অবৈধ’ অবকাঠামো গড়ে তোলার অভিযোগ আনল বেইজিং। এই নিয়ে বাড়ছে উত্তেজনা। নয়াদিল্লিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ‘কড়া জবাব’ দেওয়ার হুমকি দিয়েছে বেইজিং।
গলওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনার সীমান্ত বিধি লঙ্ঘন সম্পর্কে অবশ্য কোনো মন্তব্য করেনি চীনের প্রতিরক্ষা বা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে চীনা সেনাবাহিনীর এক সূত্র উদ্ধৃত করে চীনের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আলোচ্য এলাকা চীনের শিংজিয়াং উইঘুর অটোনমাস রিজিয়ন’র অন্তর্গত হোটান প্রিফেকচারের মধ্যে পড়ে।
ভারতের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, সোমবার ভারতের বিরুদ্ধে আকসাই চীন অঞ্চলে আগ্রাসন চালানোর অভিযোগ এনেছে চীন। ১৯৬২ সালের যুদ্ধে ভারতের কাছ থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের আকসাই চীন অঞ্চল দখল করে চীন। বর্তমানে তিব্বতের অংশ হিসেবে ওই অঞ্চলের শাসনব্যবস্থা চালায় বেইজিং। দুই দেশের মধ্যে বহু বার আলোচনা সত্ত্বেও ৩,৪৮৮ কিমি দীর্ঘ সীমান্ত নিয়ে জটিল সমস্যার এখনও পর্যন্ত কোনো মীমাংসা হয়নি।
এর আগে লাদাখে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর হানা দিয়েছিল চীনা হেলিকপ্টার। সঙ্গে সঙ্গেই সম্ভাব্য আগ্রাসন প্রতিহত করতে ছুটে যায় ভারতীয় বিমানবাহিনীর অত্যাধুনিক সুখোই যুদ্ধবিমান। এদিকে, আবার চীন সিকিম সীমান্তে উত্তেজনা তৈরি চেষ্টা করছে। সিকিম নাকু লা সেক্টরে টহলদারি চালানোর সময় ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যে অনু্প্রবেশ করে তারা। বিষয়টি দেখতে পেয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানান কর্তব্যরত ভারতীয় সেনা। বচসা থেকে শুরু হয় হাতাহাতি। এর ফলে চীনের সাতজন সেনা ও চারজন ভারতীয় সেনা সামান্য আহত হন।
সূত্র: সংবাদপ্রতিদিন।
সেরা নিউজ/আকিব