মহামারী করোনাতেও ৪৩৪ বিলিয়ন ডলার ধনী হয়েছে মার্কিন বিলিয়নেয়াররা

সেরা টিভি

প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২২ মে, ২০২০

সেরা নিউজ ডেস্ক:

একটি নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্চের মাঝামাঝি এবং মেয়ের মাঝামাঝি সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে লকডাউন চলাকালীন আমেরিকার বিলিয়নেয়রদের আয় বেড়েছে ৪৩৪ বিলিয়ন ডলার । আমেরিকানদের কর ফেয়ারনেস এবং ইনস্টিটিউট ফর পলিসি স্টাডিজ ‘অসামতার জন্য আমেরিকানদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমেরিকার জেফ বেজোস এবং ফেসবুকের মার্ক জুকারবার্গের সবচেয়ে বেশি লাভ হয়েছে, বেজোস তার সম্পদে ৩৪.৪ বিলিয়ন ডলার এবং জুকারবার্গের ২৫ মিলিয়ন ডলার যুক্ত হয়েছে। ১৮ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ফোর্বসের ডেটা ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে। যখন থেকে শুরু করে বেশিরভাগ রাজ্যগুলি লকডাউনে ছিল।

অর্থনীতি ও শ্রমশক্তি সাম্প্রতিক ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটে পড়লেও অর্থনীতি ও শ্রমশক্তিও কীভাবে করোনাভাইরাস মহামারীটিকে সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে প্রযুক্তি কেন্দ্রিক সংস্থাগুলিকে পুরস্কৃত করেছে, এই বিলিয়নেয়ার লাভ তুলে ধরেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই মাসের ব্যবস্থায় আমেরিকার বিলিয়নেয়ারের নিট সম্পদ ১৫% বেড়েছে ২.৯৪৮ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে ৩.৩৮২ ট্রিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। সবচেয়ে বড় লাভটি ছিল বিলিয়নেয়ার পিরামিডের শীর্ষে, সবচেয়ে ধনী পাঁচ বিলিয়নেয়ার – বেজস, বিল গেটস, জুকারবার্গ, ওয়ারেন বাফেট এবং ল্যারি এলিসন কম্বাইনড বিলিয়ন ডলারের সম্মিলিত সম্পদ লাভ দেখে।

ইলন মাস্ক দুই মাসের মধ্যে বিলিয়নেয়ারদের সবচেয়ে বেশি শতাংশ অর্জন করেছেন, দুই মাসে তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৪৮% হ্রাস পেয়ে ৩ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। দুই মাসে তার সম্পদের পরিমাণ ৮%% বেড়ে $ ৮০ বিলিয়ন ডলার দেখে জাকারবার্গ খুব পিছনে ছিলেন। বেজোসের সম্পদ ৩১% বেড়ে ১৪৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। বেজোসের প্রাক্তন স্ত্রী ম্যাক কেনজি বেজোস যে তাদের বিবাহবিচ্ছেদে আমাজনের শেয়ার পেয়েছিলেন, তার সম্পদের পরিমাণ তৃতীয়াংশে বেড়ে ৪৮ মিলিয়ন ডলার হয়েছে।

ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার ইনডেক্স অনুসারে বুফেটের সম্পদ ২০ বিলিয়ন ডলার হ্রাস পেয়েছে, এবং গেটস $ ৪.৩ বিলিয়ন কমেছে। বছরের জন্য, জেফ বেজোস $ ৩৫.৫ বিলিয়ন অর্জন করেছেন এবং জুকারবার্গের ৯ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে।

টানা লকডাউনে দু’মাসের সময়কালে কিছু লোকসান হয়েছিল, বিশেষত ভ্রমণ, আতিথেয়তা বা খুচরা ব্যবসায়ের বিলিয়নিয়ারদের যারা এখনও তাদের স্টক এবং সংস্থাগুলি সুস্থ হতে দেখেনি। র‌্যাল্ফ লরেন তার সম্পদ ১০০ মিলিয়ন ডলার কমে ৫.৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছেন, হোটেলকার জন প্রিটসকার তার সম্পদ ৩৪ মিলিয়ন ডলার কমে গিয়ে ২.6 বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।