সেরা নিউজ ডেস্ক:
জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে চলমান বিক্ষোভ রুখতে যুক্তরাষ্ট্রের ১৬ প্রদেশের ২৫ শহরে কারফিউ আরোপ করা হয়েছে। বিক্ষোভের চতুর্থ দিনেও বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। কারফিউ জারির পরও বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
রোববার (৩১ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, ইন্ডিয়ানাপলিসে বিক্ষোভ চলাকালীন তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে একজন নিহত হয়েছে। শনিবার রাতে ইন্ডিয়ানাপলিসের পুলিশ প্রধান রান্ডাল টেলর এক সংবাদ সম্মেলনে নিহতের খবর প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে বিক্ষোভে বেশকিছু পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছে বলে জানান তিনি।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনোপোলিস থেকে কয়েক ডজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এর আগে ২৯ মে যুক্তরাষ্ট্রের ওকল্যান্ডে বিক্ষোভে গুলিবিদ্ধ হয়ে ফেডারেল প্রতিরক্ষা পরিষেবার এক কর্মকর্তা নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
সোমবার (২৫ মে) কারাগারে নিরস্ত্র জর্জ ফ্লয়েডকে খুনের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এ থেকেই মূলত আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যায়, ৪৬ বছর বয়সী জর্জ ফ্লয়েডকে অন্যায়ভাবে পুলিশ সদস্যরা হত্যা করে। এ সময় জর্জ ফ্লয়েড নিরস্ত্র ছিলেন। হাঁটু দিয়ে জর্জ ফ্লয়েডের গলা চেপে ধরা হয়। সে বারবার নিশ্বাস নেবার জন্য আর্তনাদ করতে থাকে এবং বাঁচার আর্জি জানায়। অন্যায়ভাবে ফ্লয়েডকে মৃত্যুর ঘটনায় কৃষ্ণাঙ্গরা বিক্ষোভ শুরু করলেও এখন দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।
এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট মিনিয়াপোলিস পুলিশ বিভাগের চার কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
সেরা নিউজ/আকিব