সেরা নিউজ ডেস্ক:
জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে চলছে ব্যাপক ধড়পাকড়। রোববার (৩১ মে) বোস্টন থেকে ৪০ বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়। এসময় একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, আহত সাত পুলিশ কর্মকর্তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এসময় ২১টি পুলিশ ভ্যান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রোববার গভীর রাতে ম্যাসাচুসেটস ন্যাশনাল গার্ড বোস্টনে বিক্ষোকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে। এসময় লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
ওয়াশিংটন ডিসি, নিউইয়র্ক সিটি ও ফিলাডেলফিয়াতে কারফিউ কার্যকর হওয়ার পরেও বিক্ষোভকারী এবং পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে অগ্নিসংযোগ, টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ, ভবন ভাঙচুর এবং কয়েক ডজন বিক্ষোভকারীরে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দেশটির ৪০টিরও বেশি শহরে কারফিউ কার্যকর হয়েছে। নিউ জার্সির আটলান্টিক সিটিতে কারফিউ এক সপ্তাহের জন্য বাড়ানো হয়েছে। ওহিওর ক্লিভল্যান্ডে মঙ্গলবার থেকে আবারও কারফিউ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট মিনিয়াপোলিস পুলিশ বিভাগের চার বরখাস্ত কর্মকর্তার বিচারের আওয়াত নিয়ে আসা। কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি সহিংসতা রুখতে এ দাবি জানান তারা।
এর আগে ৩০ মে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্য থেকে ৭০ জন, নিউইয়র্ক সিটি থেকে ৩৪০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের গুলিতে ১ বিক্ষোভকারী নিহতের ঘটনা ঘটে। ২৯ মে যুক্তরাষ্ট্রের ওকল্যান্ডে বিক্ষোভে গুলিবিদ্ধ হয়ে ফেডারেল প্রতিরক্ষা পরিষেবার এক কর্মকর্তা নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
সোমবার (২৫ মে) কারাগারে নিরস্ত্র জর্জ ফ্লয়েডকে খুনের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এ থেকেই মূলত আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যায়, ৪৬ বছর বয়সী জর্জ ফ্লয়েডকে অন্যায়ভাবে পুলিশ সদস্যরা হত্যা করে। এ সময় জর্জ ফ্লয়েড নিরস্ত্র ছিলেন। হাঁটু দিয়ে জর্জ ফ্লয়েডের গলা চেপে ধরা হয়। সে বারবার নিশ্বাস নেবার জন্য আর্তনাদ করতে থাকে এবং বাঁচার আর্জি জানায়। অন্যায়ভাবে ফ্লয়েডকে মৃত্যুর ঘটনায় কৃষ্ণাঙ্গরা বিক্ষোভ শুরু করলেও এখন দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।
সেরা নিউজ/আকিব