ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার ঘটনায় দেশটিতে চলমান বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলন ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকি ও প্রাদেশিক কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে উত্তেজিত মার্কিনিরা গোটা দেশে বর্ণবাদবিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ করছে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষও হচ্ছে।
এ অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিক্ষোভকারীদের কঠোরভাবে দমনের নির্দেশ দিয়েছেন। বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের গভর্নর ও মেয়রদেরকে এই নির্দেশ দেন ট্রাম্প। ন্যাশনাল গার্ডকেও বিক্ষোভ দমনে কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।খবর সিএনএনের
বিক্ষোভকারীদেরকে ‘সরকারি সম্পদ বিনষ্টকারী’ আখ্যা দিয়ে ট্রাম্প তাদের দীর্ঘ মেয়াদে আটক রাখার নির্দেশ দেন। আদেশ অনুযায়ী বিক্ষোভ দমনে ন্যাশনাল গার্ড যেভাবে কঠোর অভিযান চালিয়েছে বিক্ষোভকারীদের ওপর তাতে খুশি হয়ে ওই বাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়ে টুইটও করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্প বলেন, ‘প্রথম রাতেই যদি মেয়ররা দমন অভিযান চালাতেন তাহলে কোনো সমস্যাই হতো না।’ এসব আদেশ ও বার্তা দিয়ে ট্রাম্প মূলত পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে বিক্ষোভকারীদের ওপর দমন অভিযান চালানোর সবুজ সংকেত দিলেন।
গত সোমবার জর্জ ফ্লয়েড নামে ৪৬ বছর বয়সী এক কৃষ্ণাঙ্গকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, রাস্তার উপরে ফ্লয়েডকে ফেলে তার ঘাড়ে হাঁটু দিয়ে মাটিতে চেপে ধরে রেখেছেন এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ। পরে শ্বাস বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান। এই ঘটনার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
ফ্লয়েড হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে ডেরেক চাওভিন নামে ওই শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তাকে ২৯ মে গ্রেপ্তার করা হলেও মাত্র ৫০০ ডলার মুচলেকায় তাকে জামিন দেওয়া হয়।
এদিকে, জর্জ ফ্লয়েডকে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে- এমন অভিযোগ তার পরিবারের আইনজীবীর। এ ব্যাপারে উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণও উপস্থাপন করেন তিনি।
সেরা নিউজ/আকিব