স্পোর্টস ডেস্ক:
তখন তিনি স্কুলের ছাত্র। ফুটবল অন্তঃপ্রাণ। কলকাতার বড় দলের খেলা থাকলে রেডিও কিংবা টিভির সামনে বসে পড়তেন খামের গায়ে ডাকটিকিট এর মতো। বড় হয়ে তিনি ফুটবলার হওয়ার স্বপ্নই দেখেছিলেন। বেহালার ডগলাস মাঠ কিংবা ব্লাইন্ড স্কুলের মাঠে নিয়মিত ফুটবল অনুশীলন করতেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার নিজেই এক সাক্ষাৎকারে এই কথা জানিয়ে বলেছেন, আমার ক্রিকেটার হওয়ার কোন কথাই ছিলনা। কিন্ত দৈবাৎ তিনি ক্রিকেটার হয়ে গেছেন। সৌরভ তখন কলকাতার বড় ক্লাবে খেলার স্বপ্ন দেখছেন সম্পূর্ণ এক ক্রিকেট পরিমণ্ডলের মধ্যে।
বাবা চন্ডী গাঙ্গুলি ফার্স্ট ডিভিশন ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষ করে বাংলার ক্রিকেট কর্মকর্তা। দাদা স্নেহাশীষ গঙ্গোপাধ্যায় বাংলার জুনিয়র দলের সদস্য। বাড়ির আদরের ছোট ছেলে মহারাজ মানে সৌরভ একদিন বৃষ্টির জলে ভিজে লম্বা জ্বর বাধালেন। মা নিরুপা দেবী প্রমাদ গুনলেন। ফুটবলের নেশা ছাড়াতে হবে সৌরভের। নিজের বাবা সচ্চিদানন্দ চট্টোপাধ্যায় কাছেই থাকতেন।
তিনি নিজেও ক্রিকেট কর্তা। তাঁকেই দায়িত্ব দিলেন নিরুপা দেবী। সচ্চিদানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের ময়দানে নাম ছিল কেলো দা। এই কেলো দাই সৌরভে কে ক্রিকেটকে ভালোবাসতে শেখান। দাদুর হাত ধরে ক্ৰিকেট মাঠে যাওয়া শুরু করেন বাচ্চা সৌরভ। বাঁ হাতির ক্রিকেট প্রতিভার বিচ্ছুরণে মুগ্ধ হন কোচরা। এতদিন পরে সৌরভ জানাচ্ছেন, ফুটবল এর প্রতি প্রথম প্ৰেম তাঁর ক্রিকেট প্রেমে পরিণত হয়। কিন্তু আজও তিনি বুঝতে পারেন না তাঁর কোচরা তাঁর মধ্যে কি দেখেছিলেম যে তাঁকে এত সুযোগ দিয়েছিলেন। দেশের ক্রিকেট অধিনায়ক তিনি হবেন স্বপ্নেও সৌরভ ভাবেননি বলে জানাচ্ছেন। এখন ক্রিকেট বোর্ড এর সভাপতি তিনি। আশা করছেন করোনার এই অভিশাপ কাটিয়ে ক্রিকেট অনাথ স্বমহিমায় ফিরবে। সোমবারের সাক্ষাৎকারে সৌরভ জানাচ্ছেন, আই পি এল হবে কিনা কদিনের মধ্যেই সাফ হয়ে যাবে।
সেরা নিউজ/আকিব