ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে ইতালির সীমান্ত খুলে দেয়া হচ্ছে বুধবার।
দেশটিতে প্রাণঘাতী করোনার প্রকোপ কমে আসায় প্রায় তিন মাস পর সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একইসময় থেকে নাগরিকদের ওপর থেকে তুলে নেয়া হচ্ছে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা।
এদিকে দেশটির ৯টি বিভাগীয় শহরে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কেউ সংক্রমিত হননি।
মঙ্গলবার ইতালিতে জাতীয় প্রজাতন্ত্র দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে দেশটির রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণীতে দেশবাসির কল্যান কামনা করেছেন।
একই সঙ্গে পাশাপাশি বিরোধী ফাইভ স্টার মুভমেন্টসহ অন্যান্য দলগুলো রোমে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। ইতালির সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও সালভিনি এ বিক্ষোভ সমাবেশের নেতৃত্ব দেন।
সরকারি নাগরিক সুরক্ষা কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, ইতালিতে গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ৫৫ জনের এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে ৩১৮ জন। এরমধ্যে দেশটির সবচেয়ে সংক্রমিত অঞ্চল লোম্বার্দিয়ায় ১৮৭ জন, যেটি আগের দিন ছিল মাত্র ৫০ জন। এ হিসেবে সার্বিকভাবে দেশব্যাপী করোনার প্রকোপ কমেছে।
বর্তমানে সবমিলিয়ে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৯৩ জন। সুস্থ হয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার ৯২ জন এবং মোট মৃত্যু হয়েছে ৩৩ হাজার ৫৩০ জনের।
এদিকে বুধবার থেকে ইতালির সীমান্ত খুলে দেয়া হচ্ছে। এরমাধ্যমে দেশটিতে প্রায় তিন মাস পর ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল হচ্ছে। ইতালির ৬ কোটির বেশি নাগরিক কাল থেকে ইউরোপের অন্য দেশগুলোতে ভ্রমণ করতে পারবেন। আঞ্চলিক শহরগুলোর মধ্যে নাগরিকদের যাতায়াতে আর কোন নিষেধাজ্ঞা থাকছে না।
ইতালিতে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রথমে ৯ মার্চ দেশটির উত্তরাঞ্চলের প্রায় ১৫ মিলিয়ন নাগরিক এবং পরবর্তীতে ১১ মার্চ পুরো দেশ লক ডাউন ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এর পর থেকে কার্যত অবরুদ্ধ এবং গৃহবন্দি সময় কাটিয়েছে দেশবাসি। বুধবার থেকে করোনায় অবরুদ্ধ জীবন থেকে স্বস্তিতে ফিরছে পুরো দেশবাসি।
সেরা নিউজ/আকিব