ব্ল্যাক হেডসের সমস্যাটি একদিকে যেমন বিব্রতকর, তেমনিভাবে বেশ কষ্টদায়কও বটে। ত্বকের গভীরে বসে থাকা কালো দানাদার বস্তুটি ত্বকের ভেতর থেকে বের করার প্রক্রিয়াটি মোটেও স্বস্তিদায়ক নয়। ত্বকের বাড়তি তেল ও বাইরের ধুলাবালি একসাথে মিশেই মূলত ব্ল্যাক হেডসের সমস্যাটি দেখা দেয়। এই সমস্যাকে বিদায় জানানোর জন্য ঘরোয়া যে উপকরণগুলো ব্যবহার উপকারে আসবে তা জানিয়েছেন একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ।
হলুদ গুঁড়া
নিউ জার্সির অ্যাফিলিয়েটেড ডার্মাটোলজিস্ট এন্ড ডার্মাটোলজিক সার্জন আলেক্সেন্ডার ডেইন জানান, হলুদের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাংগাল ও অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি ধর্ম ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। হলুদ ব্যবহারের জন্য এক টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়ার সঙ্গে এক টেবিল চামচ নারিকেল তেল মেশাতে হবে। তৈরিকৃত পেস্টটি ত্বকের ব্ল্যাকহেডসযুক্ত স্থানে প্রয়োগ করে ১০-১৫ মিনিট পর আলতো ম্যাসাজ করে ধুয়ে নিতে হবে।
টি ট্রি অয়েল
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ত্বকের ব্ল্যাক হেডস আক্রান্ত স্থানে সরাসরি টি ট্রি অয়েল ব্যবহার করতে হয়। এর ফলে আক্রান্ত স্থানের ব্যকটেরিয়া মরে যায় এবং ব্ল্যাক হেডসের সমস্যাটি দ্রুত কমে আসে। তবে টি ট্রি অয়েল ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাবান বা ক্রিমের সাথে মিশ্রিত অবস্থায় ব্যবহার করতে হবে।
ব্রাউন সুগার
চোয়াল ও নাকের ব্ল্যাক হেডস দূর করতে ব্রাউন সুগার, মধু ও লেবুর রস খুব ভালো এক্সফলিয়েন্ট হিসেবে কাজ করবে বলে জানান ডেইন। ব্যবহারের জন্য এক টেবিল চামচ ব্রাউন সুগার, দুই টেবিল চামচ লেবুর রস, এক টেবিল চামচ মধু একসাথে মিশিয়ে ত্বকের আক্রান্ত স্থানে বৃত্তাকারভাবে ম্যাসাজ করতে হবে পাঁচ মিনিটের জন্য। এরপর মুখ ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
গ্রিন টি
স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী গ্রিন টি ত্বকের যত্নেও সমানভাবে উপকারী। ডেইন জানাচ্ছেন, গ্রিন টি ত্বকের অয়েল প্রডাকশন তথা তেল তৈরির মাত্রাকে কমিয়ে আনে এবং ত্বকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রভাব তৈরি করে। ব্যবহারের জন্য এক চা চামচ শুষ্ক গ্রিন টি ও এক চা চামচ পানি একসাথে মিশিয়ে ত্বকের ব্ল্যাক হেডসযুক্ত স্থানে ৩-৫ মিনিটের জন্য ম্যাসাজ করতে হবে। এরপর ত্বক ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
সেরা নিউজ/আকিব