সেরা নিউজ ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশ কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হয়ে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে আমেরিকায় লাগাতার বিক্ষোভ-সমাবেশের ঘটনাবলিকে সুন্দর একটি ভবিষ্যতের পথ-পরিক্রমা হিসেবে অভিহিত করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তিনি বলেছেন, এবারের এই আন্দোলনের বিশেষত্ব হচ্ছে বর্ণবিদ্বেষমূলক আচরণের বিরুদ্ধে সকল বর্ণ-ধর্ম-গোত্রের মানুষেরা জেগে উঠেছে। রাস্তায় উঠা আওয়াজকে সযত্নে লালন করতে হবে সামনের দিনগুলোর অন্যায়-অবিচার রুখে দিতেও।
মিনেসোটা স্টেটে অনেক আগে থেকেই কৃষ্ণাঙ্গ, এশিয়ানরা নানা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। মিনিয়াপলিস সিটি পুলিশের বর্তমান প্রধান মেডারিয়া এরেডন্ডোকেও কয়েক বছর আগে মামলা করতে হয়েছিল বৈষম্যের বিচার চেয়ে। অবশেষে মোটা অংকের অর্থ দিয়ে সে মামলায় সমঝোতা করেছে সিটি প্রশাসন। তারপরই তাকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। এমন বর্ণ-বিদ্বেষেরই সর্বশেষ বলি হলেন ফ্লয়েড। এমন অবস্থার চির অবসানের অভিপ্রায়ে স্টেট গভর্নর ওয়ালজ গত ১০ বছরে এই সিটির পুলিশ ডিপার্টমেন্টে চলমান বর্ন-বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ২ জুন।
ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত কারফিউ চলাকালে নিউইয়র্ক, ফিলাডেলফিয়া, ওয়াশিংটন ডিসি, লসএঞ্জেলেস, শিকাগো, মায়ামি-ডেডকাউন্টি, আটলান্টা, ডালাস, ক্লিভল্যান্ড, মিনিয়াপলিস, ডালাস, ডেনভার, লুইসভিলে, ফিনিক্স, র্যালি, সানফ্রান্সিসকোসহ বিভিন্ন স্থানে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ হয়। আগের তিন রাতের মতো বিক্ষোভের মেজাজ ততটা উচ্ছৃঙ্খলতায় পূর্ণ ছিল না। সম্ভবত: চার পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধেই নতুন অভিযোগপত্র দাখিলে আন্দোলনের তীব্রতা ক্রমে হ্রাস পাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে কারফিউ ভঙ্গ করে রাজপথে অবস্থানের জন্যে এ রাতেও বেশ কয়েক ডজন বিক্ষোভকারিকে নিউইয়র্কের পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
এই আন্দোলনে বিভিন্ন স্থানে লুটতরাজের ভিকটিম যেমন হয়েছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা, ঠিক তেমনি বহু মিছিলেও প্রবাসীরা সোচ্চার রয়েছেন। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজের সামনের বিক্ষোভে আরও অনেকের সাথে ছিলেন ভার্জিনিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি তরুনী ফামি মুমতাহিনা। দাঙ্গা পুলিশের সামনে ‘এর পরে কি আমি’ লেখা একটি প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে থেকে বর্ণবিদ্বেষমূলক আচরণে লিপ্ত পুলিশের নিন্দা করেন।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ৯ জুন ফ্লয়েডের শেষকৃত্যানুষ্ঠান পর্যন্ত চলমান আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
ইতিমধ্যে এই বিক্ষোভে থেকে গ্রেফতার হয়েছে ৬৫০০ জন এবং প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১০ জন।
সেরা নিউজ/আকিব