বিনোদন ডেস্ক:
ভারতের একটি বেসরকারি টেলিভিশনের রিয়েলিটি শোতে অংশ নিয়ে আলোচনায় আসেন বাংলাদেশের উঠতি তরুণ সঙ্গীতশিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেল। দুই বাংলার দর্শকরাই তার গায়কীতে মুগ্ধ। শুধু দর্শকদের মুগ্ধতাই নয়, নোবেল প্রশংসা পেয়েছেন খ্যাতনামা সঙ্গীতজ্ঞদের কাছ থেকেও। তবে নিজের করা অনেক মন্তব্যে অহংকার প্রকাশ পেয়েছে এই উঠতি সঙ্গীতশিল্পীর। যার কারণে নিজেদের পছন্দের তালিকা থেকে নাম কেটে দিচ্ছেন ভক্তরা।
যার প্রমাণ পাওয়া গেল বাংলাদেশে নোবেলের মুক্তি পাওয়া নোবেলের মৌলিক গানে। রবিবার সকালে নিজের গাওয়া মৌলিক গানটি প্রকাশ করেছেন তিনি। এই গানে দর্শকের ভালোবাসা পাওয়ার পরিবর্তে তার ভাগ্যে জুটেছে ডিসলাইক। বেশির ভাগ মানুষই অপছন্দ করছেন গানটি।
গানটি নোবেলের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ হয়েছে। প্রকাশের ২০ ঘণ্টায় লাইক পড়েছে ২৪ হাজার ও ডিসলাইক পড়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজারেরও বেশি। ঝড়ের বেগে গানটির ডিসলাইক সংখ্যা বেড়েই চলছে।
এ গানের প্রচারণার জন্য বাংলাদেশ-ভারতব্যাপী বিতর্ক তৈরি করেছিলেন নোবেল। অপমান করেছিলেন দেশের লিজেন্ড শিল্পীদের। এমনকি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়েও বাজে মন্তব্য করেছিলেন। সেই কারণে ভারতে তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। দেশে র্যাবের ডাকে সাড়া দিয়ে ক্ষমা চাইতে হয়েছে তাকে।
যে গানের জন্য এতো কিছু, সেই গান শুনে হতাশ হয়েছে দর্শক। তাই গানটির জন্য নোবেল পাচ্ছেন ডিসলাইক ও ‘বাজে’ মন্তব্য। কেউ কেউ বলছেন, লিজেন্ডদের বিখ্যাত গান গেয়ে পরিচিতি পাওয়া হয়তো সহজ, কিন্তু নিজে ভালো মৌলিক গান দিতে অনেক সাধনা করতে হয়। ছোট মুখে বড় কথা বললেই দর্শকপ্রিয় হওয়া যায় না।
ফেসবুকেও সংগীত সংশ্লিষ্ট মানুষেরা বলছেন, তামাশা গানটি হিট করার জন্য নোবেল কদিন আগে যে বাজে পলিসি নিয়েছিলেন, তা ছিল একেবারেই ভুল।
নোবেলের এই তামাশা গানের মডেল তারই স্ত্রী মেহরুবা সালসাবিল। গানের কথা ও সুর করেছেন কৌশিক জিহান, আয়োজনে টিম নোবেল। মিউজিক ভিডিওটি পরিচালনা করেন নাজমূল হাসান।
সেরা নিউজ/আকিব