লাদাখের বিভিন্ন এলাকায় ঐকমত্যের ভিত্তিতে ভারত ও চীনের সেনারা পিছু হটছে বলে দেশগুলো সরকারি সূত্রে জানানো হয়। তবে শুক্রবার (১২ জুন) বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা যায়, লাদাখ থেকে অরুণাচল প্রদেশ পর্যন্ত গোটা নিয়ন্ত্রণরেখায় বাড়তি সেনা মোতায়েন করেছে চীন।
জানা গেছে, কেবল লাদাখেই ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে চীন। সেই সাথে আছে দূরপাল্লার কামান ও ট্যাঙ্ক। এসব ভারী অস্ত্রশস্ত্র আগেই সরানোর দাবি করেছে ভারত। ভারতীয় সেনার মতে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনা কমাতে এই পদক্ষেপ প্রয়োজন। এদিকে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর চীনা সেনা মোতায়েনের খবর ছড়িয়ে পড়ায় নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডের জোহর উপত্যকায় কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ মুন্সিয়ারি-বুগডিয়ার-মিলাম সড়ক তৈরির কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য হেলিকপ্টারে ভারী যন্ত্রপাতি পাঠানো হয়েছে। ওই সড়কের মাধ্যমে উত্তরাখণ্ডের ওই এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে থাকা সেনার পোস্টগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো যাবে। ২০১৯ সালে বেশ কয়েক বার ওই সড়ক তৈরির জন্য ভারী যন্ত্রপাতি পাঠানোর চেষ্টা করেছিল বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন। কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। পাথর কাটার যন্ত্রের অভাবে ওই পথ তৈরির কাজ বন্ধ ছিল।
এদিকে কূটনৈতিক ও সামরিক আলোচনার মাধ্যমে লাদাখে চিনের সঙ্গে উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা করছে ভারত। বৃহস্পতিবার (১১ জুন) দুই দেশের সেনার ডিভিশনাল কমান্ডার স্তরে বৈঠক হয়েছে। কিন্তু লাদাখে প্রকৃত অবস্থা সরকার স্পষ্ট করছে না বলেই মনে করেন বিরোধীরা।
রাহুল গান্ধী বলেন, লাদাখে চীনা সেনা ভারতের জমি দখল করে রয়েছে। জবাবে কংগ্রেস জমানায় চীন কিভাবে ভারতের জমি দখল করেছিল, তা জানিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু চিনা সেনা ভারতের জমি দখল করে আছে কিনা, তা স্পষ্ট ভাবে অস্বীকারও করেনি সরকার।
ভারত সরকারের রাজনৈতিক বিরোধী দলের মতে, প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজে মুখ খুলছেন না। মাঝে মাঝে কিছু খবর সরকারি বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে ফাঁস করা হচ্ছে। আর এসব কারণেই বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
সেরা নিউজ/আকিব