ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
চীনে নতুন করে ৫৭ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। রোববার দেশটির ন্যাশনাল হেলথ কমিশন এ কথা জানিয়েছে।
গত এপ্রিল মাসের পর এটি চীনে একদিনে করোনায় আক্রান্তের সর্বোচ্চ রেকর্ড। এমন পরিস্থিতিতে দেশটিতে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। খবর এনডিটিভি ও আলজাজিরার।
চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন জানায়, দক্ষিণ বেইজিংয়ের ফেঙ্গিটাই জেলায় অবস্থিত একটি মাংস এবং সবজির বাজার থেকে নতুন করে করোনার সংক্রমণ হয়েছে। নতুন করে আক্রান্তদের ৩৬ জনই বেইজিংয়ের। তারা স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত হয়েছেন। ওই ৩৬ জন বাদে চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় লিয়াওনিং প্রদেশে আরও দুজন স্থানীয়ভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই দুজনও বেইজিংয়ে আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছিলেন।
চীনের উহান শহর থেকে গত ডিসেম্বরে প্রথম করোনা ছড়িয়ে পড়ে। জানুয়ারির শুরুতেই কঠোর লকডাউনের মাধ্যমে করোনার প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করে দেশটি।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, চীনে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৩ হাজার ১৩২ জন। মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৩৪ জন।
এদিকে করোনার নতুন সংক্রমণের কারণে আবার লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন ক্লাস্টার জোন পাওয়ায় বেইজিংয়ে ১১টি এলাকায় মানুষজনকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। প্রায় নয়টির মতো স্কুল এবং কিন্ডারগার্টেন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শুক্রবার রাত ৩টার দিকে নতুন ক্লাস্টার জোন হিসেবে চিহ্নিত বেইজিংয়ের জিনফাদি মাংসের বাজারটি বন্ধ করে দেয় স্থানীয় প্রশাসন। পাশাপাশি বেইজিং শহরের অন্যান্য পাইকারি বাজারগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে।
লকডাউন নিশ্চিতে কয়েকশত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ওই এলাকায়। মাস্ক ও গ্লাভস পরা পুলিশের পাশাপাশি প্যারামিলিটারিও নিযুক্ত রয়েছে।
বেইজিংয়ের ফেঙ্গিটাই জেলার কর্মকর্তা চু জুনউই বলেন, গোটা অঞ্চল ‘যুদ্ধকালীন জরুরি অবস্থা’য় রয়েছে। ১১টি এলাকার বাসিন্দাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা যেন কোয়ারেন্টাইনে থাকেন।
সেরা নিউজ/আকিব