চুড়ান্ত পর্বের ট্রায়ালে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের দুই ভ্যাকসিন - Shera TV
  1. [email protected] : akibmahmud :
  2. [email protected] : f@him :
চুড়ান্ত পর্বের ট্রায়ালে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের দুই ভ্যাকসিন - Shera TV
শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৪ অপরাহ্ন

চুড়ান্ত পর্বের ট্রায়ালে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের দুই ভ্যাকসিন

সেরা টিভি
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৫ জুন, ২০২০

অনলাইন ডেস্ক:

চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের দুইটি ভ্যাকসিন চূড়ান্ত পর্বের ট্রায়ালে পৌঁছেছে। আসছে জুলাই মাসেই বিজ্ঞানীরা ভ্যাকসিনের কার্যকারীতা জানাবে। মানবদেহে কার্যকর প্রমাণিত হলেই সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে সারাবিশ্বে ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে প্রস্তুত এ দুই সংস্থা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ম্যাসাচুসেটস বায়োটেকনোলজি সংস্থা (মর্ডানা) ও বেইজিং ভিত্তিক বায়োটেক সংস্থা সিনোভ্যাক তাদের তৈরি ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত পর্বের ট্রায়ালে আছে। ইতোমধ্যে বিজ্ঞানীরা জোর দিয়ে বলেছেন, করোনার বিরুদ্ধে লড়তে তাদের ভ্যাকসিন শতভাগ কার্যকরী। এখন শুধু অপেক্ষা চূড়ান্ত ট্রায়াল শেষ হবার ও অনুমোদনের। এরপরই বৃহৎ উৎপাদনের দিকে এগোবে তারা। মানবদেহে ভ্যাকসিনের কার্যকরীতা বলে দেবে কোন ভ্যাকসিন করোনার বিরুদ্ধে দ্রুত অ্যান্টিবডি তৈরিতে সক্ষম।

মর্ডানা:
জুলাই মাসে ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে এ ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে। এর পরই মর্ডানা একটি চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করবে বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের ট্রায়ালে এ ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে। এ ভ্যাকসিন ইঁদুরে প্রয়োগে কার্যকর ফল পাওয়া গেছে।

জানুয়ারিতে কোভিড-১৯ এর জেনেটিক সিকোয়েন্স প্রকাশের ঠিক আট সপ্তাহের মাথায় মর্ডানার এমআরএনএ-১২৭৩ ভ্যাকসিনের প্রথম ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করে। ১৮ মে প্রাথমিক পর্যায়ের ট্রায়ালে ৪৫ জন স্বেচ্ছাসেবকে এ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে। প্রথম পর্যায়ের এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের শরীরে ভ্যাকসিনর দু’টি ডোজ দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে আটজনের দেহে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করে মডার্না জানিয়েছে, প্রাথমিক ফল ইতিবাচক। ২০২১ সালের শুরু থেকে সুইডেনের ওষুধ নির্মাতা লঞ্জার সঙ্গে যৌথভাবে ১০০ কোটি ডোজ উৎপাদন করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি। এ ভ্যাকসিন তৈরিতে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে মডার্না।

সিনোভ্যাক:

সিনোভ্যাক তাদের তৈরি ভ্যাকসিনের নাম দিয়েছে ‘কোরোনাভ্যাক’। চীনা সংস্থা সিনোভাক বায়োটেকের নিষ্ক্রিয় ভ্যাকসিনটি ব্রাজিলে তিন ধাপের ক্লিনিকাল পরীক্ষায় প্রবেশ করতে চলেছে। ভ্যাকসিনটি মানবদেহে কার্যকরভাবে দুই সপ্তাহের মধ্যে শরীরে কার্যকরী অ্যান্টিবডি তৈরি করেছে।

সিনোভ্যাক বলছে, তাদের গবেষণাগারে তৈরি ‘কোরোনাভ্যাক’ ভ্যাকসিন করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম। এখন শুধু গণ উৎপাদনের ছাড়পত্রের অপেক্ষায় আছেন তারা। সংস্থাটি জানায়, করোনা প্রতিরোধের জন্য প্রতি বছরে ১০ কোটি ডোজ উৎপাদন করতে তারা প্রস্তুত। এছাড়া ভ্যাকসিনটি বানরের উপর প্রয়োগে আশাব্যঞ্জক ফলাফল পাওয়া গেছে। করোনাভাইরাস রোধে পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিনটির ব্যাপক উৎপাদনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সংস্থাটি, অপেক্ষা শুধু অনুমোদনের।

বিশ্বব্যাপী ভাইরাসের বিরুদ্ধে ওষুধ উৎপাদন করার অভিজ্ঞতা রয়েছে সিনোভ্যাকের। ২০০৯ সালে সোয়াইন ফ্লুর টিকা বাজারজাতকারী প্রথম ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি হলো সিনোভ্যাক বায়োটেক।

সেরা নিউজ/আকিব

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরীর আরও সংবাদ
© All rights reserved by Shera TV
Developed BY: Shera Digital 360