সেরা নিউজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্র কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভে ফুলে ফেপে ওঠে গোটা যুক্তরাষ্ট্র। ব্যাপক ধরপাকড় ভাঙচুরের মধ্যে চলে এই বিক্ষোভ। যুক্তরাষ্ট্রের সীমানা পেরিয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরে আরও ৬ টি রাষ্ট্রে। ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার এই বিক্ষোভে অংশ নেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সহ অনেক নামিদামী সেলিব্রিটিরাও। বিক্ষোভের ফলশ্রুতিতে দাবী ওঠে পুলিশ আই সংস্কারের।
তারই ধারাবাহিকতায় পুলিশের সঙ্গে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস স্থাপনে নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগে (এনওয়াইপিডি) ব্যাপক পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে এনওয়াইপিডির অপরাধ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের অন্তত ৬০০ সাদাপোশাকধারী সদস্যকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ১৫ জুন নগরীর পুলিশ কমিশনার ডারমট শিয়া এই ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, প্রিসিঙ্কট পর্যায় থেকে সরিয়ে দেওয়া এসব পুলিশ সদস্যকে শিগগির অন্য দায়িত্ব দেওয়া হবে।
এনওয়াইপিডিতে গোয়েন্দা ব্যুরোসহ কমিউনিটি পুলিশ হিসেবে সাদাপোশাকে কাজ করা এসব সদস্যের বিরুদ্ধেই লোকজনের অভিযোগ বেশি। নাগরিকদের অভিযোগের খতিয়ান তুলে ধরে কমিশনার ডারমট শিয়া বলেছেন, আমাদের আরও ভালো করার সুযোগ রয়েছে।সাধারণ নজরদারি, মাদকবিরোধী কার্যক্রমে এনওয়াইপিডিতে সাদাপোশাকের পুলিশের কাজ নগরীতে অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান। গত ২৫ মে মেনিয়াপোলিসে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আমেরিকাজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়, সামাজিক সাম্যের দাবি ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১২ জুন পুলিশ সংস্কার আইনে স্বাক্ষর আদেশ জারি করেছেন নিউইয়র্ক গভর্নর এন্ড্রু ক্যুমো। তিনি বলেছেন, রাজ্যের পাঁচ শতাধিক সংস্থার পুলিশি ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনতে হবে। নতুন আইনে পুলিশি ব্যবস্থায় পরিবর্তিত কৌশল অবলম্বনে ব্যর্থ হলে রাজ্যের স্থানীয় সংস্থাগুলো থেকে অর্থ বরাদ্দ প্রত্যাহার করা হবে বলে আদেশ জারি করেছেন গভর্নর। তিনি এ পুলিশ সংস্কার আইনকে সবচেয়ে আগ্রাসী বলে মন্তব্য করেছেন।
সেরা নিউজ/আকিব