ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
গত মঙ্গলবার লাদাখ সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহতের ঘটনায় চীন-ভারত সম্পর্কে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সেই ঘটনার জেরে গোটা ভারতজুড়ে চীন বিরোধী স্লোগান চলছে। শুধু তাই নয়, দলমত নির্বিশেষে চীনা পণ্য বর্জনের ডাক দিচ্ছেন ভারতীয়রা।
অনেকে চীনের তৈরি ব্যবহার্য মোবাইল, টিভিসহ নানা ইলেকট্রনিক্স পণ্য ভেঙে ফেলছেন।
এমন উত্তেজনাময় পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছে ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিকেট লিগ আইপিএলের আয়োজকরা।
পাশাপাশি ভারতের ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিসিআই) নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে।
ভারতের সংবাদমাধ্যম জি নিউজ জানিয়েছে, আইপিএলের টাইটেল স্পন্সর চীনা মোবাইল প্রস্তুতকারক সংস্থা ভিভো। ২০১৮ সাল থেকে চীনা এই সংস্থাটি আইপিএলে চুক্তিবদ্ধ। যার মেয়াদ শেষ হবে ২০২২ সালে।
যেখানে চীনা পণ্য বয়কটের সিদ্ধান্ত জানাচ্ছে ভারতীয়রা সেখানে আইপিএলে চীনা কোম্পানির অর্থায়নের বিষয়টি প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে চীনা কম্পানির অর্থায়ন বন্ধ হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কোষাধ্যক্ষ অরুন ধুমাল জানিয়েছেন, কোনো মতেই আইপিএলে চীনা কোম্পানির অর্থায়নকে ‘না’ বলবেন না তারা। কারণ এতে লাভ ভারতেরই হচ্ছে। তাই আইপিএলের টাইটেল স্পন্সর হিসাবে চীনা কম্পানি ভিভোই থাকছে।
এর ব্যাখ্যায় অরুণ ধুমাল বলেন, এই চুক্তির মাধ্যমে চীনা সংস্থা থেকে বিসিসিআই টাকা পাচ্ছে। সেই টাকা করের মাধ্যমে ভারতের অর্থ ভান্ডারে যোগ হচ্ছে। যা পক্ষান্তরে ভারতেরই লাভ।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম পিটিআইকে দেয়া সাক্ষাৎকারে অরুন ধুমাল বলেন, আবেগের সঙ্গে কথা বললে যুক্তি আগ্রাহ্য করে মানুষ। কিন্তু বাস্তবতা তো ভিন্ন। আর এখানের বাস্তবতা হচ্ছে চীনা কোম্পানির কাছ থেকে পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে আমরা তা চীনাদের জন্য নয়, ভারতীয়দের উপকারে লাগাচ্ছি।
এরপর কিছুটা নমনীয় হয়ে বিসিসিআইয়ের এই কোষাধ্যক্ষ বলেন, তবে আগামীতে কোনো সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করলে দেশ এবং দেশবাসীর স্বার্থের কথা অগ্রাধিকার দেবে বিসিসিআই। বিশেষ করে সীমান্তে ভারতীয় সেনার ওপর চীনের আক্রমণের পর আগামী দিনে যে কোনো চীনা সংস্থাকে বর্জন করার পক্ষে বিসিসিআই।
সেরা নিউজ/আকিব