ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
বিতর্কিত সীমান্তে চীনের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষের পর চলমান সামরিক উত্তেজনার মধ্যেই দেশের তিন বাহিনীকে সমরাস্ত্র কেনার অনুমতি দিয়েছে নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকরা। তিন বাহিনীই প্রয়োজনে ৫০০ কোটি রুপি পর্যন্ত যুদ্ধাস্ত্র কিনতে পারবে।
বার্তা সংস্থা এএনআই সরকারি সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে তেমন পরিস্থিতি তৈরি হলে যাতে জরুরি ভিত্তিতে সামরিক অস্ত্র সামগ্রীর ঘাটতি মেটানো যায়, সেই লক্ষ্যেই সামরিক বাহিনীকে বাড়তি এই ক্ষমতা দেওয়া হল বলে মনে করছে পর্যবেক্ষকরা।
গত ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের সীমানা বিভাজনকারী প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) ভারত-চীন সেনার মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। তাতে ভারতের এক কর্নেলসহ ২০ জন নিহত হন। আহত হয়ে চিকিৎসাধীন ৭৬ জন। এরপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা রয়েছে চরমে।
চীনা সেনাবাহিনীর গতিবিধির উপর কড়া নজর রাখার পাশাপাশি আগ্রাসনের চেষ্টা হলে উপযুক্ত জবাব দেওয়ার কথা তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এমনকি চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতাও দেওয়া হয়েছে।
এবার যুক্ত হলো অস্ত্র কেনার ক্ষমতা। যুদ্ধাস্ত্রসহ সামরিক সরঞ্জাম কেনার বিষয়টি এত দিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল ছিল। অর্থাৎ কোনও অস্ত্রশস্ত্র বা সরঞ্জাম কেনার প্রয়োজন হলে সেনাবাহিনীর কর্কমর্তারা মন্ত্রণালয়ে চাহিদা জানাতেন। কিন্তু আর সেটার প্রয়োজন পড়ছে না।
কেন্দ্র সরকারের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএনআই-কে বলেছেন, ‘প্রয়োজনীয় অস্ত্রশস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম কিনতে তিন বাহিনীর সহ-প্রধানদের ৫০০ কোটি রুপি খরচ করার আর্থিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে এই অঙ্কের মধ্যে তা মেটাতে পারবে সেনা।’
সামরিক উত্তেজনা চরমে ওঠার পর তা প্রশমনে দুই পক্ষের কমান্ডারদের মধ্যে আলোচনা চললেও সীমান্তের বেশ কয়েকটি এলাকায় উভয় পক্ষের সেনারা মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে আছে বলে জানাচ্ছে রয়টার্স। শনিবার সারাদিন দেশ দুটি পরস্পরের বিরুদ্ধে এলএসি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে।
সেরা নিউজ/আকিব