ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
ভারতের সঙ্গে চীনের সংঘাত তুঙ্গে। একদিকে রাশিয়া গিয়েছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। শোনা যাচ্ছে অস্ত্র কেনার বিষয়ে কথা হবে সেখানে। আবার অন্যদিকে আমেরিকা থেকেও অস্ত্র ভারতের হাতে। তৎপরতার সঙ্গে চলছে অস্ত্র কেনার কাজ।
সম্প্রতি, অস্ত্র কিনতে ভারতীয় সেনাকে বিশেষ আর্থিক ক্ষমতা দেয়া হয়েছে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে। সেই অর্থ দিয়েই আমেরিকা থেকে কেনা হচ্ছে বিশেষ কামান। M-777 Howitzer gun কিনতে চলেছে ভারত।
সূত্রের খবর, ইস্টার্ন লাদাখ সেক্টরে বসানোর জন্য ওই সব কামান কেনা হচ্ছে। এর আগে বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের পর এই কামানের অর্ডার দেয়া হয়েছিল। এবার সেটাই সংখ্যায় আরও বাড়ানো হচ্ছে।
এই কামানের নিশানা একেবারে নিখুঁত। ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে অব্যর্থভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে এই অস্ত্র।
ভারত সীমান্তে কঠিন পরিস্থিতি। ২০ জওয়ান শহিদ হওয়ার পর থেকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত। কী পদক্ষেপ নেয়া হবে, তা নিয়ে দিল্লিতে চলছে দফায় দফায় বৈঠক। এরই মধ্যে চীনের উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে প্রচুর অস্ত্র কেনার ক্ষেত্রে অনুমোদন দিয়েছে ভারত সরকার।
তিন বাহিনীকেই অস্ত্র কেনার আর্থিক ক্ষমতা দিয়েছে কেন্দ্র। ৫০০ কোটি টাকায় যে কোনও অস্ত্র কেনার ক্ষেত্রে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যাতে ভবিষ্যতে যে কোনও ধরনের সংঘাতে আরও বেশি করে তেরি থাকতে পারে ভারত।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, এক উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, তিন বাহিনী ভাইস চিফদের এই ৫০০ কোটি টাকার অস্ত্র কেনার অনুমোদন দেওয়া হবয়েছে। যে যে ক্ষেত্রে অভাব রয়েছে, তা পূরণ করার জন্য এই অস্ত্র কেনার কথা বলা হয়েছে।
এর আগে উরি হামলা এবং বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের পরও এরকমই আর্থিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল ভারতীয় সেনাকে। সেইসময় প্রচুর অস্ত্র কেনা হয়। যার মধ্যে ছিল স্পাইস ২০০০ মিসাইল, স্ট্রাম আটক গ্রাউন্ড মিসাইল সহ একাধিক অস্ত্র। ইজরায়েল থেকে কেনা হয়েছিল স্পাইস অ্যান্টি-ট্যাংক গাইডেড মিসাইল।
সেরা নিউজ/আকিব