ভোটাভুটিতে খুব বেশি লড়াই হয়নি। ফিফার ৩৫ জন কাউন্সিল সদস্যের ২২ জনই ভোট দেন অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের পক্ষে। তাতেই সিদ্ধান্ত পরিষ্কার ২০২৩ সালের নারী বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজক হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড। আয়োজকের এই লড়াইয়ে ছিল কলম্বিয়া। কিন্তু ভোটে হেরে যায় তারা।
এই প্রথমবারের মতো নারীদের বিশ্বকাপের আয়োজন হচ্ছে যৌথভাবে দুই দেশে। সেই সঙ্গে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যাও বাড়ছে। আগে ২৪টি দেশ এতে অংশ নিতো। ২০২৩ সালের নারীদের বিশ্বকাপে খেলবে ৩২টি দেশ। যেহেতু অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা বাড়ছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচের সংখ্যাও বাড়বে।
২০২২ সালের বিশ্বকাপের আয়োজক হয়েছে কাতার। কিন্তু সেই বিশ্বকাপের আয়োজক নির্ধারণের ভোটাভুটি নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। অভিযোগ আছে যে ঘুষ দিয়ে কাতার সেই ভোট জিতেছিল। তাই এবার ফিফা সব বিতর্ক এড়াতে ৩৫ জন কাউন্সিলের ভোটাভুটির ফল পুরোপুরি প্রকাশ করে।
আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আসর আয়োজনে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের অভিজ্ঞতার ভান্ডার বেশ সমৃদ্ধ। ২০২৩ সালের এই বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আর্ডেন প্রচুর দৌড়ঝাঁপ করেছেন। সেই মিশনে সফল হয়েছেন জাসিন্দা।
অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের সুপরিচিত ১২টি শহরে এই বিশ্বকাপের আয়োজন হবে। কোয়ার্টার ফাইনাল হবে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে। ফাইনাল হবে সিডনির এএনজেড স্টেডিয়ামে। সিডনির বিশাল এই স্টেডিয়াম ২০০০ সালের অলিম্পিকের আয়োজক হয়েছিল। স্টেডিয়ামে দর্শক ধারণ ক্ষমতা ১ লাখ ১০ হাজার।
নারী বিশ্বকাপ ফুটবলের শেষ আসর বসেছিল ফ্রান্সে। সেই বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আমেরিকা। নিজ দেশে ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের আয়োজনে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের নারী দল দারুণ উচ্ছ্বসিত।
সেরা নিউজ/আকিব