শুক্রবার নতুন ৪৫ হাজার ২৪২ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে; দেশটিতে মহামারী শুরুর পর এটি একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ শনাক্তের নয়া রেকর্ড বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এই নিয়ে পরপর তিন দিন দেশটিতে দৈনিক হিসাবে এ যাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ সংক্রমণ শনাক্ত হল। এতে দেশটিতে করোনাভাইরাস পরীক্ষায় পজিটিভ আসা মানুষের সংখ্যা অন্ততপক্ষে ২৪ লাখ ৮০ হাজারে দাঁড়িয়েছে। মৃত্যু ছাড়িয়েছে এক লাখ ২৫ হাজার।
এর আগে বুধবার শনাক্ত হওয়া আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৬ হাজার ৮৮০ জন। এরপর বৃহস্পতিবার আগের দিনের সংখ্যা ছাপিয়ে নতুন আরও ৪০ হাজার জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে, শুক্রবার নতুন শনাক্তের সংখ্যা আগের সব রেকর্ড ছাড়ায়।এর আগে শুধু ২৪ এপ্রিল একদিনে শনাক্ত নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬ হাজার পেরিয়েছিল।
শনাক্ত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের র্শীর্ষে আছে। করোনাভাইরাসে বিশ্বের মোট আক্রান্ত ও মৃতের এক-চতুর্থাংশই যুক্তরাষ্ট্রের।
দেশটির বেশ কয়েকটি রাজ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার পর থেকে নতুন সংক্রমণের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। সংক্রমণ বাড়তে থাকায় টেক্সাস, ফ্লোরিডা ও অ্যারিজোনা বিধিনিষেধ শিথিলের পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে।
অ্যারিজোনা করোনাভাইরাস সংকটের নতুন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। রোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ রাজ্যে মহামারী নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।
এর পাশাপাশি যে রাজ্যগুলোতে নতুন করে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে সেগুলোর মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়া, অ্যালাবামা, জর্জিয়া, মিসিসিপি, মিজৌরি, নেভাডা, ওকলাহোমা, সাউথ ক্যারোলাইনা, আইডাহো, টেনেসি এবং ওয়াইওমিং উল্লেখযোগ্য।
দেশটির এক-তৃতীয়াংশ রাজ্যে শনাক্ত রোগীর ঊর্ধ্বগতি দেখে উদ্বিগ্ন মার্কিন শীর্ষ সংক্রামক বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউচি যুক্তরাষ্ট্র নতুন করোনাভাইরাস নিয়ে ‘গুরুতর সমস্যায়’ পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এখন বলছেন, দেশটিতে প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা সরকারি হিসাবের ১০ গুণ পর্যন্ত হতে পারে।
সেরা নিউজ/আকিব