ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
ভারতীয় কাশ্মীরে জারি করা সরকারি নির্দেশনাকে ঘিরে নতুন করে যুদ্ধ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা একে ভারত সরকারের যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবেই দেখছেন। চীন-ভারত অচলাবস্থার মধ্যে কাশ্মীরে সরকার বেশ কিছু নির্দেশনা জারি করেছে। এরমধ্যে রয়েছে, দুই মাস চলার উপযোগী এলপিজি মজুত। একইসঙ্গে কারগিলের গান্দেরবাল এলাকার সকল স্কুলগুলোকে সেনা ক্যা¤প বানানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
যদিও নির্দেশনায় দাবি করা হয়েছে, ভূমিধসের কারণে ন্যাশনাল হাইওয়ে বন্ধ হয়ে গেলে উপত্যকায় গ্যাস সরবরাহের উপর যেন প্রভাব না পড়ে তাই এলপিজির পর্যাপ্ত মজুত করতে হবে। খাদ্য, বেসামরিক সরবরাহ ও ভোক্তা পরিচালকের দেয়া নির্দেশে বলা হয়, তেল কোম্পানিগুলোর কাছে তাদের স্থানীয় গোডাউনে দুই মাস চলার মতো এলপিজির মজুত থাকতে হবে।
এই প্রথম ভর গ্রীষ্মে এলপিজি সিলিন্ডারের মজুত গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের প্রশাসন। সাধারণত অক্টোবর-নভেম্বরের দিকে শীতের আগে এই উদ্যোগ নেয়া হয়।
তুষারপাতের কারণে কাশ্মীর উপত্যকার পথঘাট চালাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে। আলাদা আরেক নির্দেশে গান্দেরবাল পুলিশ সুপার জেলার ১৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে খালি করার অনুরোধ করেন। এগুলোর মধ্যে আইটিআই ভবন, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
তবে এই আদেশগুলো নিয়ে জনগণের মধ্যে প্রবল উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। হাওয়ালের অধিবাসী নাজির আহমেদ বলেন, অনেক দিন ধরে আকাশে জঙ্গিবিমানের গর্জন আমরা শুনছি। গত বছর ফেব্র“য়ারি মাসেও একই ধরনের নির্দেশ জারি করা হয়েছিলো। উপত্যকায় আবারো খারাপ কিছু ঘটার পূর্বাভাস পাচ্ছি।
সেরা নিউজ/আকিব