করোনাভাইরাসের মিউটেশনের ফলে ভাইরাসটির আরও বেশি সংক্রমক হয়ে উঠেছে তবে আগের মতো আর মারাত্মক নেই। অর্থাৎ করোনার মিউটেশনের ফলে মৃত্যু ঝুঁকি কমেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লা জোলা ইনস্টিটিউট ফর ইমিউনোলজির নতুন এ গবেষণায় এমন দাবি করেছে বিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছে, ভাইরাসটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর সময় দুটি সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল: মূল ডি৬১৪ ও একটি মিউটেশন, জি৬১৪।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছে, করোনাভাইরাস অন্যান্য ফ্লু ভাইরাসের তুলনায় ধীর গতিতে পরিবর্তিত হয়। শুরুতে জি ও ডি উভয় ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। মার্চের মাঝামাঝি সময়ে জি স্ট্রেন আরও বেশি প্রভাবশালী ছিল। পরীক্ষায় দেখা যায়, নতুন জি ভাইরাসটি নিরপেক্ষ ছিল এবং মাঝে মধ্যে মূল ডি ভাইরাসের মতোই ছিল। এর অর্থ দাঁড়ায় করোনা প্রতিরোধে জি ভাইরাসের জন্য আলাদা অ্যান্টিবডির প্রয়োজন নেই।
অধ্যাপক ডাঃ এরিকা ওলম্যান সাফায়ার বলেছেন, ভাইরাসগুলো প্রায়শই আমাদের প্রতিরোধ ব্যবস্থা দ্বারা সৃষ্ট অ্যান্টিবডিগুলোকে রূপান্তরিত করে।
লস আলামোস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির সহযোগী সিনিয়র লেখক ড. বেটে কোরবার বলেন, এই আবিষ্কারগুলো প্রমাণ করে ভাইরাসটির নতুন রূপ মূল ফর্মের চেয়ে আরও সহজেই সংক্রমণ ঘটাতে পারে।
মিউটেশন কী
ভাইরাসের ডিএনএ বা আরএনএ- জিনোমে নিউক্লিওটাইড সিকোয়েন্সে কোনো ধরনের পরিবর্তন এলেই তাকে মিউটেশন বলা হয়। ভাইরাস যখন অন্য কোনো দেহে প্রবেশ করে সেখানে প্রতিলিপি তৈরির মাধ্যমে এরা বংশবৃদ্ধি করতে থাকে। এ প্রতিলিপির সময় যদি নিউক্লিওটাইড বেইজ পেয়ারের কোনো অংশ মুছে যায় বা নতুন করে কোনো অংশের সংযোজন হয় কিংবা কোনো অংশ পুনঃসজ্জিত হয়, তাহলেই আমরা একে মিউটেশন বলে থাকি।
সেরা নিউজ/আকিব