শুক্রবার (৩ জুলাই) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, সাধারণ মানুষের জন্য ১৫ আগস্ট এই ভ্যাকসিন লঞ্চ করতে চাইছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ।
সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য এক ডজন ইনস্টিটিউটকে মনোনীত করা হয়েছে বলে সরকারের শীর্ষ মেডিক্যাল রিসার্চ বডি জানিয়েছে।
ভারতের বায়োটেক ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে যৌথভাবে এ ভ্যাকসিন নিয়ে আসছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ। এ ইনস্টিটিউটগুলোকে আইসিএমআর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য প্রস্তুত হতে বলেছে। এই বিষয়টিকে প্রায়োরিটি প্রজেক্ট হিসেবে দেখছে কেন্দ্রীয় সরকার।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ চলতি সপ্তাহেই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করে দিতে নির্দেশ দিয়েছে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ওপরেই এই ভ্যাকসিনের সাফল্য নির্ভর করবে। কোনও ইনস্টিটিউট এই বিষয়ে সহযোগিতা না করলে তা গুরুতর অপরাধ হিসেবে দেখা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
ইনস্টিটিউটগুলিকে লেখা চিঠিতে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য নির্বাচিত ইনস্টিটিউটগুলিকে নির্দিষ্ট টাইমলাইনের মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে এই কাজটি করতে বলা হয়েছে। টিকা বানানোর জন্য সার্স-কভ-২ ভাইরাসের স্ট্রেন সংগ্রহ করা হয়েছিল আইসিএমআর-এর অধীনে থাকা পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি থেকে। টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরুর আগে যা যা করণীয় বিবিআইএল-এর সহযোগিতায় সেই সবই করেছে ও করে চলেছে আইসিএমআর।
বিশাখাপত্তনম, রোহতক, নিউদিল্লি, পাটনা, বেলগাউম (কর্নাটক), নাগপুর, গোরক্ষপুর, কট্টনকুলাথুর (তামিলনাড়ু), হায়দরাবাদ, আর্য্য নগর, গোয়া ও কানপুরে ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
সেরা নিউজ/আকিব